ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: টানা তিন মাস কাজ শেষে আগামী ০২ নভেম্বর চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে পরীক্ষামূলক ভাবে চলবে ট্রেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ নভেম্বর এ রেল লাইন উদ্বোধন করবেন।
চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি কালুরঘাট সেতু হয়ে কক্সবাজার যাবে।
জানা গেছে, বুয়েটের পরামর্শক দলের সুপারিশ অনুযায়ী প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির সংস্কার করা হচ্ছে। ৬৩৮ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি ২০০১ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল। সেতুর ওপর দিয়ে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনে ১০ টন ভারী ইঞ্জিন চলাচল করতে পারে। সেতু পার হওয়ার সময় গতি থাকে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার। তবে কক্সবাজারগামী ইঞ্জিনের ওজন হবে ১২ থেকে ১৫ টন। ট্রেনের গতি হবে সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। দোহাজারী-কক্সবাজার রেল যোগাযোগের সুফল পেতে সেতুটি সংস্কার করা হচ্ছে।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, আগামী ০২ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে। এ সময় রেলমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
কালুরঘাট সেতু সংস্কার কাজের পরিচালক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল আমিন বলেন, আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে সেতুর ওপর রেল লাইনটির কাজ আগে শেষ করা। পরের স্টেপে পথচারীদের জন্য সেতুর দু’পাশে দুটি ওয়াকওয়ে করা হবে। পরে যাতে এ সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলতে পারে এ জন্য রেল লাইনের ওপর কার্পেটিং করা হবে। কাজের অগ্রগতি ভালো। আগামী ০২ নভেম্বর পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে এ সেতুর ওপর দিয়ে কক্সবাজার যাবে। এর আগেই আমরা ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত করতে পারবো বলে আশা করছি।
গত ০১ অগাস্ট থেকে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়। দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে ট্রেন যোগাযোগ চালুর আগেই শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কালুরঘাট সেতু সংস্কার করা হচ্ছে। বর্তমানে সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেতুর নিচে ফেরি দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের।
রেলওয়ে বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী (১) এম এ হাসান মুকুল বলেন, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সেতুর সংস্কার কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে এখন আরও কয়েক মাস বাড়তি সময় লাগতে পারে। তবে, আমরা চেষ্টা করছি এর আগেই কাজ শেষ করতে।
২০০৪ সালের ১৩ অগাস্ট ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুতে বড় ধরনের সংস্কার কাজ করা হয়েছিল। এরপর ২০১২ সালে আরেক দফা সংস্কার করেছিল রেলওয়ে। কিছুদিন না যেতেই সেতুটির অবস্থা পুনরায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। পরে সর্বশেষ কক্সবাজার রুটের ট্রেন চলাচলের জন্য ০১ অগাস্ট থেকে সংস্কার কাজ শুরু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।