ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এ জন্য রাজধানীর সদরঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী লঞ্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সকালে ৭ নম্বর বিপদসংকেত জারি করার জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে সকালেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেই আমরা। কিন্তু সদরঘাট থেকে চাঁদপুরে লঞ্চ চলছিল। বিকেল ৩টা থেকে সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চ বিকেলের পর সদরঘাট ছেড়ে যায়। সেগুলো আর যাবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকতে পারে।
মঙ্গলবার দুপুরে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-১১) জানানো হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শেষ রাত থেকে সকাল নাগাদ মেঘনা মোহনার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে।
পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।