ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশে সয়লাব রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন বাজার বিশেষ করে পদ্মা পাড়ের দৌলতদিয়া ইলিশের বাজার। এর মধ্যে ডিমওয়ালা ইলিশ চোখে পড়ার মতো। বাজারে অনেক মাছ থাকায় দামও তুলনামূলক ভাবে কম।
মা ইলিশ রক্ষায় টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ০২ নভেম্বর (শুক্রবার) দিবাগত রাতে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর পরই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে পদ্মার ইলিশ মাছে সয়লাব। এর মধ্যে ডিমওয়ালা ইলিশ চোখে পড়ার মতো। বাজারে মাছ অনেক থাকায় দাম কিছুটা কম।
উপজেলা মৎস্য অফিস ও অন্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারাদেশে ১২ অক্টোবর থেকে ০২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই সময় ইলিশ মাছ বিপণন, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুতেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে গোয়ালন্দ শহরের দৌলতদিয়াঘাট বাজার, অন্তারমোড় বাজার, পৌর জামতলা বাজার, চর দৌলতদিয়া হাট, উজানচর জামতলা বাজারে বিক্রেতারা প্রচুর ইলিশ নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য। এর মধ্যে অনেক ডিমওয়ালা ইলিশ রয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে সরজমিনে দৌলতদিয়া ঘাট টার্মিনাল সংলগ্ন বাজারে দেখা যায়, সেখানে অনেক মানুষের সমাগম। ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের ইলিশ বাজারে উঠেছে। জেলেরা ভ্যানে ঝুড়ি ভর্তি করে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি করতে আসছেন। অধিকাংশ ইলিশ মাঝারি আকারের। একটু বড় ইলিশ হলে সেগুলোর পেট ভর্তি ডিম।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছোট আকারের ইলিশ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, মাঝারি আকারের ইলিশ ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকায়, ১ কেজির কাছাকাছি ওজনের ইলিশ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়, ১ কেজি থেকে দেড় কেজির ইলিশ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেড় কেজি বা তার ওপরের বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আড়ত ঘরের সামনে ডালার ওপর ইলিশ রেখে নিলামে হাঁকডাক করে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের সরবরাহ বেশি হওয়ায় ছোট ও অন্যান্য মাছের দাম তুলনামূলক কম যাচ্ছে।
দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী শাজাহান শেখ বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার কারণে আজ নদীতে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। এছাড়া অনেক পাঙ্গাশ মাছও ধরা পড়েছে। তবে দাম কম তুলনামূলক আজ কম এবং ক্রেতাও অনেক বেশি।