ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: এক সপ্তাহে রিজার্ভ কমল আরও ১০ কোটি মার্কিন ডলার। বর্তমানে রিজার্ভে গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ৫১৬ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলার।
এক সপ্তাহ আগে (১৬ নভেম্বর) রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ৫২৬ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। এক সপ্তাহে রিজার্ভ কমল ১০ কোটি মার্কিন ডলার। তবে নেট রিজার্ভের হিসাবে তারতম্য রয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ নেট রিজার্ভের পরিমাণ ১৯ দশমিক ৫২ দশমিক ডলার (বিপিএস-৬) বা এক হাজার ৯৫২ কোটি ৩৯ লাখ মার্কিন ডলার। এক সপ্তাহ আগে নেট রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার বা এক হাজার ৯৬০ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। এক সপ্তাহে নেট রিজার্ভ কমেছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ লাখ মার্কিন ডলার। এ হিসাবে গ্রস ও নেট রিজার্ভের মধ্যে তারতম্য রয়েছে। যে হারে নেট রিজার্ভ কমেছে তার চেয়ে বেশি কমেছে গ্রস রিজার্ভ।
বাংলাদেশ সাধারণত রিজার্ভ থেকে গঠিত তহবিলসহ রিজার্ভের হিসাব করবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে থেকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নেওয়ার শর্ত অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুযায়ী হিসাব দেখানো শুরু করে। সে অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে রিজার্ভ গণনায় বিমানকে দেওয়া ঋণ গ্যারান্টি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ রিজার্ভ থেকে বাদ দেয়। অবশিষ্ট ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভকে নেট বলা হচ্ছে। পাশাপাশি মোট রিজার্ভও দেখানো হয়।