ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানিকৃত পাথরের উপর অতিরিক্ত শুল্কায়ন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে এ বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে।
এর আগে সোমবার দুপুরে বন্দর ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে স্থলবন্দর দিয়ে পাথর বোঝাই কোনো ভারতীয় ট্রাক দেশে প্রবেশ করেনি।
জানা গেছে, তামাবিল স্থলবন্দরে অবস্থতি বাংলাদেশ শুল্ক বিভাগ পণ্য আমদানিতে প্রতি টনে পূর্বের নির্ধারিত অ্যাসেসমেন্ট ১২ ডলারের পরিবর্তে ১৩ ডলার করেছে। বাড়তি শুল্ককর প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে আমদানি বন্ধ করে দেন পাথর আমদানিকারকরা।
আমদানিকারকরা জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য আমদানির ক্ষেতে প্রতি টনে ১৩ ডলার অ্যাসেসমেন্ট রেট নির্ধারণ করায় আগের চেয়ে ৫০ টাকা হারে বেশি রাজস্ব দিতে হবে। এ হারে রাজস্ব বাড়ার কারণে লোকসান গুনতে হবে। ফলে বাড়তি শুল্ক হার প্রত্যাহারে দাবিতে পণ্য আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অতিরিক্ত শুল্কায়ন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বেলা ১২টায় তামাবিল স্থলবন্দরে স্থানীয় আমদানীকারক ব্যবসায়ীরা মতবিনিময় সভা করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন তামাবিল চুনা পাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন তামাবিল চুনা পাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন (ছেদু), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল আহমদ, সদস্য জাকির হোসেন (আর্মি), আব্দুল করিম রাসেল, সৈয়দ শামীম আহমদসহ আমদানীকারক ব্যবসায়ীরা।
তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির উপর অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু প্রতি মেট্রিক টনে অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি করে। এই বাড়তি শুল্ক দিয়ে আমদানি করতে হলে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই তামাবিলসহ সিলেটের সবকটি বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনা পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।