কয়েক দিনের প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিল।ঠিক সে সময় এক পশলা বৃষ্টি মানুষে মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। নগরীর মানুষ এ বৃষ্টি উপভোগ করেছে।
রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে সিলেট ,ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোয় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে হঠাৎ করে বৃষ্টি নামায় ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। তারা দৌড়াদৌড়ি করে বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণী বিতাণে গিয়ে অবস্থান নেন। আবার অনেককে স্বস্তির বৃষ্টিতে মনের আনন্দে রাস্তায় ও রিকশার হুট খুলে ভিজতে দেখা গেছে। চলাচলকারীরা অটোরিকসা, সিএনজি থামিয়ে আশ্রয় নেন সড়কের পাশের বাসা বাড়ির বারান্দায়। কেউ কেউ বসে থাকেন ইজি বাইক থামিয়ে।
এদিকে সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূবার্ভাসে বলা হয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলে অবস্থান করছে। এটি পরবর্তীতে আরও গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া এবং রাঙামাটি অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হওয়ায় কমে এসে তাপপ্রবাহ। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৩৪ দশমিক ৯, ময়মনসিংহে ৩৪, চট্টগ্রামে আজ ৩৩ দশমিক ২, সিলেটে ৩৫, রাজশাহীতে ৩৮, রংপুরে ৩৪ দশমিক ৪, খুলনায় ৩৫ দশমিক ৫ এবং বরিশালে আজ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।