ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ২০১৩ সালে যেখানে প্রতি কেজি চালের দাম ছিল ৩৬ টাকা। ২০২৩ সালে সেটি ৮০ টাকা। ১০ বছরে চালের দাম বেড়েছে ১২২ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা ফেলো ড. বদরুন্নেসা আহমেদ ‘দ্রব্যমূল্যে অস্থিরতা: উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সরকারের নীতি অকার্যকরের কারণে বাজারের অন্য নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার পর্যবেক্ষণ করলেও তা কার্যকর হয় না। বাজার মনিটরিং করে চলে গেলে আবার আগের দামে বিক্রি শুরু হয়।
পণ্য আমদানি করার ক্ষেত্রে দেশ নির্বাচনের ভূমি হয়েছে বলে মনে করেন এই গবেষক।
তিনি বলেন, তেলের বড় ক্রেতা (বিগ বায়ার) চীন ও ভারত সরাসরি রাশিয়া থেকে তেল কিনে তাদের দেশে দাম ঠিক রাখছে। আমরা পশ্চিমা দেশগুলো থেকে তেল আনছি। এ কারণে আমাদের দাম আর তাদের কেনা দাম ভিন্ন হতে পারে।
বদরুন্নেসা আহমেদ বলেন, রিজার্ভ না থাকায় বাজারে আমরা ক্রেডিবল থ্রেট দিতে পারছি না। যার কারণ বাজার মূল্য স্থিতিশীল হচ্ছে না। স্পেকুলেশনের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। স্পেকুলেশনকে সিন্ডিকেশন না বলে, পলিসি কন্সট্রেইন্ট ফেইলিয়র বলা যেতে পারে।
পঁচনশীল দ্রব্যের বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষণার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, পঁচনশীল দ্রব্যের ক্ষেত্রে দাম ওঠানামা করছে, কিন্তু অপঁচনশীল ক্ষেত্রে তেমন ঘটছে না।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।