ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক : বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার বিকেলে ডিসি সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে আমরা তাদের ধন্যবাদ জানালাম, কারণ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি রাখার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের বিরাট একটা ভূমিকা ছিল। সামনে যে সময়টা আসছে মার্চ মাসসহ সেই সময়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
তিনি বলেন, জ্বালানির দাম আমরা কিভাবে সাশ্রয়ী রাখতে পারি সেই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে জ্বালানি তেলের ডাইনামিক প্রাইসিংয়ে চলে গেছি। এই সপ্তাহ থেকে জ্বালানি তেলের দাম ডায়নামিক প্রাইসিংয়ের দিকে যাবে। আশা করছি একটা সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করতে পারব।
ডিসিদের পক্ষ থেকে কী প্রস্তাবনা ছিল জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবৈধ ভাবে গ্যাস ব্যবহার বন্ধে আমরা কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি, আমরা আরো কঠিন হতে পারি কি না। আমরা বলেছি, পরিকল্পিত শিল্প এলাকা ছাড়া কোথাও গ্যাস এবং বিদ্যুতের সংযোগ দেব না। তাদেরকে অনুরোধ করেছি বিষয়টি দেখার জন্য। কৃষি জমি ভরাট করে শিল্প এলাকা গড়ে তোলা হচ্ছে, এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশনা রয়েছে। তেল চুরির বিষয়ে ডিসিরা সহযোগিতা চাচ্ছেন। বিষয়গুলো লিখিত ভাবে আমাদের কাছে এসেছে। আমরা সেই বিষয়ে দেখছি।
তেলের পরিমাপ কম দেওয়ার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই আমরা প্রত্যেকটি পেট্রোল পাম্পকে জিএস ম্যাপিং করেছি।
তেলের দাম বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করবেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, তেলের দাম নির্ধারণ হবে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে। সেখানে একটি নস্রু তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেটি আমরা অনুমোদন পেয়েছি মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। এই সপ্তাহে আমরা সেটা গেজেট আকারে প্রকাশ করবো।
তেলের দাম কমলে সীমান্ত দিয়ে তেল পাচার বাড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেল পাচারের বিষয়টি আমরা নজরদারির মধ্যে রেখেছি। আপনারা জানেন বাংলাদেশে এখন ডিজেলের দাম ১০৯ টাকা প্রতি লিটার, কলকাতায় দাম প্রতি লিটার আমাদের টাকায় হিসাব করলে প্রায় ১৩৩ টাকা, সুতরাং এই বিষয়টি আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানিয়েছি। এখানে তেলের মূল্য আরেকটু সাশ্রয়ী হলে তেল পাচারের আশঙ্কা থাকে। এই বিষয়টিও নজরদারির মধ্যে থাকবে।
গ্যাসের সিলিন্ডার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলিন্ডার যেন ডিলারদের হাত থেকে কোনো ভাবেই চার হাত ঘুরে সাব এজেন্টদের কাছে না যায়। সেই বিষয়টি যেন ডিসিরা নজরদারি করেন। সিলিন্ডার যেন যত্রতত্র রেস্টুরেন্টে ব্যবহার না হয়।