ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চার কাঁকড়া ইউনিয়নের শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্রের ৩ নং কূপে মিলেছে গ্যাসের অস্তিত্ব। প্রাথমিক ভাবে কূপটির ৩ নম্বর জোনে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
শনিবার দুপুরে কূপটির সর্বনিম্ন স্তরের (লোয়ার জোন) ডিএসটি টেস্ট শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) এর চরকাঁকড়া ৩ নম্বর কূপের ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, খনন কার্যক্রম শেষে গত শনিবার থেকে পরীক্ষামূলক ডিএসটি টেস্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন চলছে লোয়ার জোনের টেস্ট। কূপটির মোট তিন হাজার ৩৮৫ মিটার গভীরে খনন করা হয়েছে যার মধ্যে লোয়ার জোনের তিন হাজার ৪১ মিটার থেকে তিন হাজার ৪৬ মিটার এবং তিন হাজার ৫৭ মিটার থেকে তিন হাজার ৬৪ মিটার পর্যন্ত টেস্ট কার্যক্রম চলছে। এরপরই অপর দুটি জোনের টেস্ট কার্যক্রম চলবে। ডিএসটি টেস্টের পরেই এখানে মোট মজুদের পরিমাণ জানা যাবে।
তিনি বলেন, টার্গেট ছিল এখান থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যোগ করার। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে টার্গেটের চেয়েও বেশি গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। তবে বাকি দুটি জোনের টেস্ট শেষে মোট গ্যাসের মজুদ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ০৮ জানুয়ারি শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্রটির ১ নং কূপ উৎপাদনের যাবার পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন।