ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বগুড়ার রুচিতা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে মরা মুরগির পঁচা মাংস সংরক্ষণ ও বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রক্রিয়াজাতকরণের অভিযোগে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ওই হোটেল সিলগালা করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের নবাববাড়ী সড়কে এ জরিমানা করা হয়।
সন্ধ্যার পর আইন-শৃংখলা বাহিনী বিক্ষুব্ধ জনতাকে থামাতে সাময়িক ভাবে তাদের হোটেলের মালিক চয়ণ ও এক কর্মচারীকে থানায় নিয়ে যায়। জরিমানা পরিশোধের পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এর আগে আগে ওই হোটেলের এক কর্মচারি পঁচা মুরগী রান্নার উপযোগী করে কেটে নেয়ার জন্য বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারে মুরগীর দোকানে যায়।
বাজারের এক কাঁচা পণ্যের ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান জানান, রুচিতা হোটেল এন্ড রেষ্টুরেটের এক কর্মচারী শুক্রবার ইফতারের কিছু আগে মুরগী নিয়ে যায়। সে সময় স্থানীয় বাজার সমিতির লোকজন তাকে ধরে ফেলে। পরে তারা স্থানীয় পুলিশে খবর দিলে তাকে বাজার সমিতির ঘরে রাখতে বলে। ইফতারের পর তারা ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দেয়।
পরে ভোক্তা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল ইসলাম রিজভী ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা মো. রাসেল বিষয়টি জানতে পারেন। তারা অভিযান পরিচলনা করেন। এছাড়াও, অভিযানে পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শাহ আলী খান ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইফতেখারুল ইসলাম রিজভী জানান, দুপুরে রুচিতা হোটেল থেকে মিলন চন্দ্র মোহন্ত নামে এক কর্মচারী ৩০ কেজি ব্রয়লার মুরগীর মাংস নিয়ে ফতেহ আলী বাজারে প্রক্রিয়াজাত করতে যায়। এ সময় বাজারের লোকজন মুরগীগুলো মরা ও পঁচা বলে অভিযোগ করে প্রশাসনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখা যায় মুরগীগুলো মরা ও পঁচা যা খাওয়ার অযোগ্য। তারা রুচিতা হোটেলের ভেতরে অভিযান চালায়। তখন হোটেলে রক্ষিত আরো চামড়া ছেলা পঁচা মুরগী জব্দ করেন। ৩২ কেজি পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত মুরগী তাদের ফ্রিজ সংরক্ষিত ছিল। সেই মুরগী শহরের ফতেহ আলী বাজারে রান্নার উপযোগী করে কেটে নেয়ার জন্য যায় হোটেলের কর্মচারী। এ ঘটনার স্বীকারোক্তি দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। হোটেলটি সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেয় ভোক্তা অধিদপ্তর। এসব অপরাধে রুচিতা হোটেলকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। হোটেল কর্তৃপক্ষ চয়ন কুমার জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেন।