মো. আবু জুবায়ের উজ্জল: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন স্থানে তার চেয়ে কমে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের পার্ক বাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সারাদেশে যে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি সে অনুযায়ী বাজারের ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন, কয়েকটা জায়গায় কম মূল্যেও বিক্রি করা হচ্ছে। চিনি ১৪৫ টাকার জায়গায় ১৩৮ টাকাও বিক্রি করছে। তেলও আমরা ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি। কিন্তু খুচরা তারা ১৫৮ টাকা বিক্রি করছেন।
তিনি বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে সব কিছুর ঘাটতি থাকার কথা থাকলেও এখন কিন্তু বাজারে কোনো ঘাটতি নাই। রমজানে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্যের সরবরাহ রয়েছে৷ লেবুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সব কিছুই বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে৷ লোকাল প্রশাসন যথাযথ ভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে৷ আমাদের কাজ হলো সাশ্রয়ী মূল্যে সাধারণ মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবারহ নিশ্চিত ঙ্করা৷
বাজার মনিটরিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
বাজার মনিটরিংয়ের আগে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা প্রশাসক মো.কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ও টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাপা, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর- ধনবাড়ি) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর ) আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ।
এছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন, জেলার বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যানবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, পৌর মেয়রগণ ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় জেলার সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।