ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বাংলা বর্ষপঞ্জির শেষ মাস চৈত্র আসতেই একটু একটু করে বাড়ছে গরমের মাত্রা। শীতে কম থাকলেও গরম আসতেই চট্টগ্রামে বেড়ে গেছে লোডশেডিং।
অনেক সময় লোডশেডিংয়ে তীব্র গরম আর অন্ধকারে দুর্বিষহ হয়ে পড়ে জনজীবন। এর থেকে সাময়িক রেহাই দিতে গেল কয়েক বছরে রিচার্জেবল ফ্যান-লাইটের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। যাদের আইপিস বা জেনারেটর কোনটাই কেনার সামর্থ্য নেই তারাই মূলত রিচার্জেবল ফ্যান-লাইটের ক্রেতা।
নগরের তিন পুলের মাথা, রাইফেল ক্লাব, নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লোডশেডিং বেড়ে যেতেই ইতোমধ্যেই দোকানগুলোতে বেড়েছে রিচার্জেবল ফ্যান-লাইটের ক্রেতা। প্রয়োজন অনুসারে দরদাম করে কিনে নিচ্ছেন এসব পণ্য।
পাথরঘাটার বাসিন্দা রিয়াজউদ্দিন বাজারের ইলেকট্রিক পণ্যের দোকানে সমীর দেব এসেছেন রিচার্জেবল লাইট কিনতে। তিনি বলেন, গত বছর হঠাৎ করে রিচার্জেবল লাইট-ফ্যানের দাম হু হু করে বেড়ে গিয়েছিল। সে অভিজ্ঞতা থেকে একটু আগেভাগেই কিনে রাখছি। মার্কেটের কাছেই বাসা তাই চাকরি থেকে যাওয়ার সময় কিনে রাখছি।
রাইফেল ক্লাব মার্কেটে কথা হলো মো. ওসমানের সঙ্গে। তিনি এসেছেন ঈদে ঘরের জন্য টুকিটাকি শপিং করতে। তাই রিচার্জেবল ফ্যানের দামটা একটু দেখে যাচ্ছেন। পরে হাতে টাকা আসলেই কিনে নিবেন। তবে তিনি জানালেন, রিচার্জেবল ফ্যানের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি।
বিভিন্ন মার্কেটের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লোডশেডিং শুরু হতেই রিচার্জেবল লাইট-ফ্যানের বিক্রি বেড়েছে। বিভিন্ন সাইজ ও মানভেদে রিচার্জেবল লাইট পাওয়া যাচ্ছে ১৮০-২০০০ টাকার মধ্যে। আর রিচার্জেবল ফ্যানেরও সাইজ হরেক রকম। মোটামুটি মানের একটা ফ্যান ১৫০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। এর থেকে কম টাকায় পাওয়া যাচ্ছে আরও ছোট আকারের ফ্যান। কেনেডি ও ফাইন্ডার জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ফ্যানগুলো নূন্যতম ২৬০০-৪৫০০ এর মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
রয়েল প্লাজার বিক্রেতা মো. জুনায়েদ বলেন, এখন রিচার্জেবল ফ্যান-লাইটের বিক্রি বেড়েছে। তবে যেগুলো চায়না থেকে আসে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। তবে বাজারে কোনো ঘাটতি নেই।