ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়কে নির্মিত একটি রেল ওভারপাস, সাতটি ওভারপাস ও দুটি সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সকালে সচিবালয়ের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এগুলো উন্মুক্ত করেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এগুলো প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসাবে ঘরমুখো মানুষের জন্য আমরা আজ উন্মুক্ত করে দিচ্ছি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতু ও মেঘনা-গোমতী সেতুর টোলপ্লাজায় ২০১৬ সাল থেকে সীমিত পরিসরে একটি করে লেনে ইটিসি কার্যক্রম চালু আছে। মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজায় বিদ্যমান কম সংখ্যক টোল বুথগুলোর মাধ্যমে যানবাহন থেকে টোল কালেকশন, বিশেষ করে ঈদের সময় যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষমান থেকে টোল পরিশোধ করার কারণে জনভোগান্তি বেড়ে যায়। সেই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় টোল কালেকশনকে অধিকতর প্রযুক্তি নির্ভর করা এবং জনভোগান্তি লাঘবে বিদ্যমান মেঘনা সেতু টোলপ্লাজার পাশে নতুন আরেকটি টোলপ্লাজা নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ঢাকা জোনের আওতায় আনুষঙ্গিক অন্যান্য সুবিধাসহ প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন এ টোলপ্লাজায় ছয়টি নতুন টোল কালেকশন বুথের সংস্থান রয়েছে। ফলে বিদ্যমান পুরাতন টোলপ্লাজা ছয়টি এবং নবনির্মিত মেঘনা টোল প্লাজা-২ এর নতুন ছয়টিসহ সর্বমোট ১২টি টোল বুথের মাধ্যমে টোল কালেকশন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
১২টি টোল বুথের সবকটিতেই ক্যাশ ও ক্যাশলেস (ইটিসি) ট্রানজেকশনের মাধ্যমে টোল দেওয়া যাবে। ফলে যেসব যানবাহন ইটিসি পদ্ধতিতে টোল দেবে তারা বিরতীহীন ভাবে অর্থাৎ টোলপ্লাজায় না থেমেই দ্রুততম সময়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। এতে টোলপ্লাজায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টোল দেওয়ার চিরাচরিত ভোগান্তি আর থাকবে না।