ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: রাজশাহীতে জাতীয় জ্বালানি রূপান্তর নীতি ও পরিকল্পনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দিনব্যাপী নগরের একটি রেস্তোরাঁয় এ সভার আয়োজন করে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
সভার শুরুতে বিস্তারিত আলোচনা করেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। তিনি বাংলাদেশের সংবিধান, বিভিন্ন আইন, বিধিমালায় জ্বালানি বিষয়ে নাগরিকদের অধিকার নিয়ে আলোকপাত করেন। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে তিনি দেখান এই বিষয়ে পুরোপুরি নাগরিক অধিকার প্রাপ্তিতে আইনের ফাঁক রয়েছে।
২০০৯ সালের জাতীয় ভোক্তা-অধিকার আইনেও ভোক্তারা প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি সংকট ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন বিষয়ে বক্তারা আলোচনা করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্যাবের প্রস্তাবিত ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, কিছু ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেওয়ার জন্য সরকার জ্বালানি খাতে বিপুল পরিমাণ ব্যয় করছে। বর্তমান সরকারের ১৪ বছরে শুধু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভাড়া বাবদ সরকার ব্যয় করেছে এক লাখ কোটি টাকা। এতো বিপুল পরিমাণ ব্যয়ের পরও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারকে এ জন্য বিকল্প চিন্তা করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি হবে টেকসই। এ জন্য মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি জ্বালানি বৈষম্য দূর করতে হবে।
ক্যাব রাজশাহী জেলার সভাপতি কাজী গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য দেন ক্যাবের উপদেষ্টা ও দৈনিক সোনালী সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক লিয়াকত আলী ও এড. মোস্তাফিজুর রহমান খান আলম, রাজশাহী ক্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসরিন লুবনা, দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান, সেভ দ্য ন্যাচার অ্যান্ড লাইফের সভাপতি মিজানুর রহমান, নাগরিক ভাবনার আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক রাশেদ রিপন, সুজন রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক প্রমুখ।
সভা কো-অর্ডিনেট করেন মারুফা আকতার কলি।