ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট : জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিটা পদে পদে যেভাবে অতি মুনাফার প্রবণতা ছড়িয়ে গেছে। আমরা সেই বিষয়ে কাজ করছি। কিন্তু কৃষকের ক্ষেত থেকে শুরু হওয়ার পর প্রতিটি পর্যায়ে সিন্ডিকেট রয়েছে। নকল প্রোডাক্টে ভরে গেছে।’
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর ঢাকা বিভাগীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশে এখন পাকা কাঠাল পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কাঠাল জৈষ্ঠ্য মাসে পাকে। কিন্তু এটা কেমিক্যাল মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে। এগুলো খেয়ে আরও ক্ষতি হচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। আর এটা হচ্ছে সেই প্রতিবাদের প্লাটফর্ম। আপনাদের দীর্ঘদিনের আইনের ফলে এই অধিদপ্তরের জন্ম হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ক্যাব আমাদের কাছে জানতে চাইবে- ভোক্তা অধিকার রক্ষায় কেন আপনারা পারছেন না। কারণ আপনারা মানুষের জন্যে কাজ করার প্রত্যাশা নিয়ে এই সংগঠনের বিভিন্ন কমিটিতে রয়েছেন। আপনারা ওষুধের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ করেছেন, হাইকোর্টে রিট করেছেন, তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট মূল্য বৃদ্ধি না করার আদেশ দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বছর কয়েক আগে ডিজেলের দাম বাড়ায় ডিমপ্রতি খরচ বাড়লো ৮/৯ পয়সা। কিন্তু দাম বাড়ালো ২/৩ টাকা করে। আমরা সেই সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছি। আমাদের আইনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা ইচ্ছে করলেই সব কিছু করতে পারি না। কিন্তু আপনারা তো স্বাধীন। আপনারা কেন ভয়েস রেইজ করতে ভয় পান। আপনার তো আমাদেরকে প্রতিনিয়ত বিরক্ত করবেন। কেন ভোক্তা প্রতারিত হবে। কিন্তু আপনারা যে সম্মান পাচ্ছেন ক্যাবের সদস্য হয়ে সেই কমিটমেন্ট কতটুকু পালন করতে পারছেন।’
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বা কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ নামে ভাইফোঁর অনেক প্রতিষ্ঠান দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। তারা কমিটি দিচ্ছে। কিন্তু ক্যাবের সংশ্লিষ্ট কমিটি কেন জানবে না। বিভিন্ন জায়গায় ভোক্তা অধিদপ্তরের নামে চাঁদাবাজী করছে। আপনাদের ভয়েস আর আমাদের কার্যক্রম দুটো মিলাতে পারলে ভোক্তার অধিকার রক্ষা হবে। আপনাদের কাছে একটাই চাওয়া- একটু অ্যাকটিভ হোন।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি আইন দিয়ে কখনোই ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। আমাদের সবার কার্যক্রমের মাধ্যমে ভোক্তাকে জাগিয়ে তুলতে হবে। আমাদের এখানে প্রতিদিন অন্তত ১০০টি করে অভিযোগ পড়ছে। আমরা সেটা সমাধান করার চেষ্টা করছি।’