কাঁচা মরিচের কেজি ১২০ টাকা

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের কেজি ১২০ টাকা ও আলুর কেজি ৫০-৬০ টাকাসহ সব ধরনের সবজির দাম হু হু করে বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার হাটবাজারগুলোতে মরিচ আলুসহ সকল প্রকার সবজির দাম দফা দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম আকাশচুম্মী হওয়ায় বিশেষ করে এ অঞ্চলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে কাঁচা মরিচ ও আলু কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাদের কাছে কাঁচা মরিচ ও আলু যেন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক দুই সপ্তাহে আগেও ফুলবাড়ী, বালারহাট ও খরিবাড়ীহাটসহ অধিকাংশ হাট-বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা ও আলু ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

কিন্তু গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের কেজি ১২০ টাকা ও আলু ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। কাঁচা মরিচ ও আলুর দামের সাথে করলা ৫০ টাকা, ঢেড়স ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ টাকা, জালি কুমড়া পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, পিয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, আধা ২৬০ টাকা, সজিনা ৬০, টমেটো ৩০ টাকা, শশার কেজি ২০ টাকা ও বড়বটি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষজন।

কাঁচা মরিচ ও আলুসহ সকল ধরনের সবজির দাম দ্বিগুন বেড়ে যাওয়ায় বাজার মনিটরিংয়ের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন।

উপজেলার কুরুষাফেরুষা গ্রামের দিনমজুর কাসেম আলী ও পূর্বফুলমতি এলাকার নজরুল ইসলাম জানান, বালারহাট বাজারে কাঁচা মরিচের ১২০ টাকা ও আলুর কেজি ৫০-৬০ টাকা কেজি। আমরা নিম্নআয়ের মানুষ কিভাবে মরিচ ও আলু কিনবো। এভাবে দাম বৃদ্ধি পেলে আমাদের পক্ষে কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শুধু মরিচ-আলু না বাজারে পটল, করলাসহ সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে।। জীবন বাঁচার তাগিতে একটু একটু করে ক্রয় করতে হয়। মরিচ আলুসহ এসব সবজির দাম না কমলে আমরা নিম্নআয়ের মানুষ চরম বিপাকে জীবনযাপন করতে হবে।

নাওডাঙ্গা এলাকার নির্মল চন্দ্র রায় ও সণ্জু মিয়া জানান, আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার। ধান চাষের উপর নির্ভরশীল। একদিকে দ্রব্যমূল্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী আবার সবজির বাজারেও আগুন। এভাবে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের করুন পরিণতি হবে।

বালারহাট বাজারের সবজি বিক্রেতা দিলীপ চন্দ্র দেবনাথ ও হেলাল মিয়াসহ অনেকেই জানান, বাজারে কাঁচা মরিচের আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। এই মরিচগুলো দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে। অতিখরার কারণে মরিচের ফলন কমে যাচ্ছে। তারপরও সল্প পরিসরে আসছে। আমরা প্রতি কেজি মরিচ ক্রয় করছি ১০০ টাকা আর বিক্রি করছি ১২০ টাকা। আমদানি কম থাকা মরিচ, আলুসহ সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। আমদানি বৃদ্ধি পেলে দাম কমে যাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম জানান, সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। কোনো ব্যবসায়ী যদি কাঁচা মরিচ ও আলুসহ বিভিন্ন সবজির কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।