ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বর্তমান আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে আগামী জুনেই বাজারে আসবে উত্তর জনপদের অত্যন্ত সুমিষ্ট হাঁড়িভাঙ্গা আম- এমনটি জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর রংপুর জেলায় তিন হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙা আমের চাষাবাদ করা হয়েছে এক হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৬ হাজার মেট্রিক টন।
সরেজমিনে রংপুরের বদরগঞ্জ এলাকার রামনাথপুর, গোপীনাথপুর, বিষ্ণুপুর, কালুপাড়া ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি আম বাগানে এবার ফলন কম হয়েছে। আকারেও ছোট হয়েছে আম। টানা তাপপ্রবাহে কারণে অকালে ঝরে পড়েছে হাঁড়িভাঙা আমের গুটি। বৈরী আবহাওয়ায় আমের ফলন কম হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন আম চাষিরা।
আম চাষিদের ভাষ্য, আমের মুকুল আসার সময় পৌষ-মাঘ মাসে বৃষ্টি হওয়ায় বাগানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তার ওপর টানা খরা ও তাপপ্রবাহে আম গাছে পোকার আক্রমণ হয়েছে। ফলে ঝরে পড়েছে আমের গুটি। পোকা দমনে কীটনাশক ও সেচ দিয়েও খুব একটা কাজ হয়নি। ফলে আম উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আম চাষি সাজেদুর রহমান, সাঈদ হোসেন জানান, বাগানে পোকার আক্রমণ দেখা দেওয়ায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ওষুধ ছিটানো হয়েছে। সেই সঙ্গে হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাগানে নিজ উদ্যোগে সেচও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও আশানুরূপ ফলন আসেনি। আমের ফলন ও আকারে ছোট হওয়ায় পাইকারদের আনাগোনাও কম দেখা যাচ্ছে। ফলে এই আম আবাদ করে এ বছর চিন্তায় আছি।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বাগানে পোকা দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আম গাছে কীটনাশক ও পানি ছিটাতে। প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ায় চাষিরাও বিপাকে পড়েছেন। এমন অবস্থায় আমের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা আছে।