মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার: চাঁদপুরে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, তেলের ডিপোর আশপাশে যারা তেল বিক্রি করছে তার কতটুকু আইন সংগত। অনেক তেল বিক্রেতা এক জায়গার লাইসেন্স নিয়ে অন্য জায়গায় তেল বিক্রি করছে। আপনারা আইনের সহায়তা নেননি কেন? পদ্মা, মেঘনা, যমুনা তেলের ডিপো কখনো জেলা প্রশাসানকে এ বিষয়গুলো অবগত করেনি? তাহলে আমাদেরকেই আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
ডিপো কর্তৃপক্ষ বলে এক জেলার তেল অন্য জেলায় বিক্রি করা যাবে না। চাঁদপুর ডিপো থেকে তেল নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে বিক্রি করে দেয়। চাঁদপুর থেকে ফরিদগঞ্জ পর্যন্ত ১১৫টি অবৈধ তেল বিক্রির দোকান রয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠান রহমান ট্রেডার্সের শুধু লাইসেন্স রয়েছে। ২১ ও ২২ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থাকায় দু’দিন সরকারি ছুটি থাকবে সে জন্য তেলের মজুত রাখতে হবে।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত চাঁদপুরে কাজ করছে। হোটেল, রেস্তোরাঁ, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ওষুধ বিপনী ও নিত্যপণ্যের দোকানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সামনে ঈদ, তাই মসল্লার বাজারগুলোতে তদারকি ও অভিযান করা প্রয়োজন। পুরানো বাজারে অহরহ ভারতীয় চিনি আসছে। খোলা অবস্থায় এনে বিভিন্ন কোম্পানির নামে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করছে। আসলে তারা ব্যবসায়ী না। মসল্লা, পেঁয়াজ, আদা, রসুন এগুলোর দাম এখন বাড়বে। বাচ্চাদের বিদ্যালয়ের সামনে বিভিন্ন ব্যান্ডের আইসক্রিম বিক্রি করা হচ্ছে। এগুলো খেয়ে কোমলমতি শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। প্রচন্ড গরমে মানুষের পানির পিপাসা বেড়েছে। চাঁদপুরে পানির জার বিক্রি করা হচ্ছে, তা কতটুকু মানসম্মত তা যাচাই করা হবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ভোক্তা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের এডি নূর হোসেন, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক গোপাল সাহা, জেলা ক্যাব সদস্য বিপ্লব সরকার, হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আখন্দ, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মাসুদ রানা, জেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, পুলিশ পরিদর্শক আক্তার ডিএসবি চাঁদপুর, যমুনা অয়েল কোম্পানির পক্ষে শিশির চন্দ্র, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের পক্ষে লিটন কর্মকার, পদ্মা অয়েল কোম্পানির পক্ষে সিরাজুল ইসলামসহ আরও অনেকে।