ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: জনগণের পুষ্টি ঘাটতি মোকাবিলা ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে ভিটামিন সমৃদ্ধ ভোজ্যতেলের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর ড্রামে বাজারজাত করা খোলা তেল জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি তৈরির পাশাপাশি ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ বিষয়ক আইন বাস্তবায়নেও বাধা হিসেবে কাজ করছে। এ অবস্থায় জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভোজ্যতেলে পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার বিশ্ব পুষ্টি দিবস উপলক্ষে এক প্রতিক্রিয়ায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে অপুষ্টির ঘাটতি মোকাবিলায় সরকার ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ আইন প্রণয়ন করেছে। ভোজ্যতেলে পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে ড্রামে খোলা ভোজ্যতেল বাজারজাত বন্ধ করতে হবে। তা না হলে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়বে।
আইসিডিডিআর,বির ২০১৭ সালের গবেষণা অনুযায়ী, বাজারে মোট ভোজ্যতেলের ৬৫ শতাংশ ড্রামে বাজারজাত করা হয়, যার ৫৯ শতাংশই ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ নয় এবং ৩৪ শতাংশে সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ নেই। পরিস্থিতি উন্নয়নে শিল্প মন্ত্রণালয় এক নির্বাহী আদেশে জুলাই ২০২২-এর পর থেকে ড্রামে খোলা সয়াবিন তেল এবং ডিসেম্বরের পর থেকে খোলা পাম তেল বাজারজাতকরণ বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে।
তবে এই নির্দেশনার কার্যকর বাস্তবায়ন এখনো দেখা যায়নি। ড্রামের খোলা ভোজ্যতেলে ভেজাল মেশানোর সুযোগ থাকে এবং ননফুড গ্রেডেড প্লাস্টিক ড্রাম বার বার ব্যবহারের ফলে ভোজ্যতেল বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে।
জাতীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট জরিপ ২০১৯-২০ অনুযায়ী, ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের (গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারী নয়) মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভিটামিন ‘এ’ ঘাটতিতে ভুগছে। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে অন্ধত্ব, গর্ভকালীন মাতৃমৃত্যুসহ নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।