ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সারাদেশেই ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ঝড়ছে। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, তো কখনো মুষলধারে। বৃষ্টিতে ক্রেতা না থাকায় কমেছে সবজির দাম। তবে মুরগি, ডিম, চালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি বিক্রেতা দোকানই খোলেননি। যেগুলো খুলেছে সেসব দোকানেও তেমন ক্রেতা নেই। এর ভেতরেই বৃষ্টি ও কাঁদাতে কষ্ট করেই সবজি বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
তারা জানান, সকালের তুলনায় বিকেলে সবজির দাম ১০-১৫ টাকা কমে গেছে। বৃষ্টিতে ক্রেতা না থাকায় এবং সবজির মতো কাঁচামাল দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় কম দামেই সবজি বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা।
বর্তমানে কারওয়ান বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, ধুন্দুল ৩০ টাকা, টমেটো ৪০-৭০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, কুমড়া ৩০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ টাকা, মরিচ ২০০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৩০ টাকা, চাল কুমড়া ৩০ টাকা, ফুলকপি ৩৫ টাকা, প্রতি হালি কাঁচা কলা ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শামীম বলেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতা নেই। সকাল থেকেই সবজির দাম কম। দুপুরের পর সবজির দাম আরও কমে যায়। কারণ বেপারীরা বিক্রি করতে পারছেন না। আর এসব কাঁচামাল রেখে দেওয়ারও সুযোগ নেই। তাই কম দামেই বিক্রি করে দিচ্ছি।
এদিকে, পেঁয়াজের দাম ৪-৫ দিন আগে এক দফা বাড়লেও, বৃষ্টির কারণে এই পণ্যটির দামের পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে প্রতিকেজি পাবনার পেঁয়াজ ৭০-৭২ টাকা, ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৬৮ থেকে ৭০ টাকা, রাজশাহীর পেঁয়াজ ৭০-৭২ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ বিক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, আরও তিন-চার দিন আগে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে কেন বেড়েছে সেটা জানি না। আজকে নতুন করে দাম বাড়েনি, কমেনি।
এদিকে, আগের মতো ২৫০ টাকা দরে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) আলু বিক্রি হচ্ছে। মুরগি, গরু, খাসির বাজারেও নেই দামের কোনো পরিবর্তন। বর্তমানে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২শ টাকা সোনালি ৩৩০-৩৪০ টাকা, সাদা কক মুরগি ৩৩০-৩৪০ টাকা, লেয়ার ৩৪০ টাকা, গরু ৭৫০-৭৮০ টাকা, খাসি ১১০০ টাকা ও ছাগল এক হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়। চালের বাজারেও নেই কোনো পরিবর্তন।