আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিন পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করা হবে লকডাউন।কঠোর লকডাউনের আগে বৈশাখীর কেনাকাটার হিড়িক পড়েছে রাজধানীর ফুটপাত, বিপণিবিতান ও শপিংমলে। এছাড়া দেখা যায়, অনেকেই ঈদের আগাম কেনাকাটায় ব্যাস্ত। তবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শপিংমল ও দোকানপাট খোলার নির্দেশনা থাকলেও মুখে মাস্ক পড়া ছাড়া সামাজিক দূরত্বের কোন নিয়মই মানা হচ্ছে না।
দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি বাড়ছে কিন্তু তা যেন নাড়া দিচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। ভিড় ঠেলে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে বিভিন্ন দোকানে ছুটছেন ক্রেতারা। এদের মুখে মাস্ক থাকলেও উধাও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা। রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া, নূরজাহানসহ আশ-পাশের মার্কেটের সামনের ফুটপাতগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এমনকি ফুটওভার ব্রিজেও নেই হাঁটা-চলার জায়গা। গুলিস্তানের ফুটপাতগুলোতেও দেখা গেছে এমন চিত্র। তবে বেশিরভাগ মানুষ মানাছেন না সামাজিক দূরত্ব। ক্রেতা থেকে শুরু করে বিক্রেতা- কারো মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা নেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু শুধু লকডাউন দিয়ে লাভ হবে না। লকডাউন দেয়ার মতো সক্ষমতা নেই আমাদের। মূলত গুরুত্ব দিতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপরে এবং সেটি শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরার সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধিও মানতে হবে।’
এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, আগামী ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) থেকে ৭ দিন পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করা হবে লকডাউন। লকডাউনের বিষয়ে রোববার (১১ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এবারের লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।