ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বর্ষার অজুহাতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। কমেনি পেঁয়াজের দাম। এছাড়া প্রতিটি সবজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে দাম। স্থিতিশীল আছে মাছ ও মাংসের দাম।
শনিবার সপ্তাহের প্রথম দিনে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। আর আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আদা ও রসুন ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। করলা ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০, গাজর ১০০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৫০, ঝিঙে ও ধুন্দুল ৫০, সজনে ডাঁটা ৮০, পটল ৫০, লাউ ৪০, কচু ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।।
ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও মাংসের দাম গত সপ্তাহের মতোই উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল। সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকাতে। সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। গরু প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা ও খাসি ১১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৬টাকা হালিতে।
সাগরপাড়ায় সবজি কিনতে আসা পরিবহন শ্রমিক মানিক মিয়া বলেন, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজের দাম গত বাড়লেও তা কমছে না। প্রতিটি পণ্যর বেশি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। বাধ্য হয়ে আমাদের কিনতে হচ্ছে। দাম বেশি কেন জিজ্ঞেস করলে দোকানিরা বলেন, আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়েছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা ইনসান আলী বলেন, মূলত বৃষ্টির কারণে উৎপাদন ও সরবরাহ বিঘিœত হওয়ায় বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। আমাদেরও বেশি দামে কিনে নিয়ে আসতে হচ্ছে।
এদিকে, বর্ষা মৌসুমেও মাছের দাম স্থিতিশীল আছে। পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, দেশি ছোট কই প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, শোল মাছ একটু বড় সাইজের প্রতি কেজি ৯০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়, কাতলা মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও টেংরা মাছ ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।