ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বরগুনার আমতলী উপজেলায় বর্ষা মৌসুমের শেষ পর্যায়ে বৃষ্টিপাত বাড়ায় বিভিন্ন নদী, খাল, বিল, পুকুর ও জলাশয়ে প্রচুর প্রাকৃতিক দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া যাচ্ছে। পেশাদার জেলে ও সৌখিন মাছ শিকারিরা বরশি ও নানা ধরনের জাল দিয়ে এসব মাছ ধরছেন। বাজারে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশী মাছের আধিক্য লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞার পরে প্রতিকুল আবহাওয়া থাকায় সাগর থেকে খুব উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ইলিশ আসছে না।
আমতলী উপজেলা জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জলবায়ুর পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অসচেতনতা, অবাধে ফসলের জমিতে ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহারের কারণে সারাদেশে দেশীয় মাছের অস্তিত্ব প্রায় বিলীনের পথে হলেও আমতলীতে এখনো বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ দেখা মেলে প্রচুর পরিমাণে। দেশীয় জাতের এসব মাছের মধ্যে রয়েছে শোল, খৈলশা, টাকি, কৈ, চিংড়ি, গজার, টেংরা, চিতল, শিং,কালিবাউশ, বাঁশপাতা, কাউন, দেশি পুঁটিসহ অর্ধশত প্রজাতির মাছ। শ্রাবণের শেষে বাজারে এই মাছগুলোর আধিক্য রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের স্বাদ অতুলনীয়। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ গত কয়েক বছরের তুলনায় দামটা খুবই বেশি।
আমতলী উপজেলা সিনিয়র কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল হাসান জানান, পানি দূষণ, জলাশয়ের গভীরতা হ্রাস, ছোট মাছ ধরার জন্য কারেন্ট জালের ব্যবহারের কারণে দেশী প্রজাতির মাছ ধ্বংস হচ্ছে। এ ব্যাপারে সচেতন করতে মৎস্য বিভাগ কাজ করছে।