ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: নীলফামারীর সৈয়দপুরে কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা কেজি দরে। ‘স্বর্ণা-৫’ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।
রোববার একাধিক বাজার ঘুরে এমনই মূল্য দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একদিকে পুঁই শাক, পাট শাক, কঁচু শাক, কলমি শাক, ধনেপাতা, কচুর লতি, চিচিঙ্গা, বরবটি, আদা, হলুদসহ বিভিন্ন ধরনের কাঁচা সবজির দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। অন্যদিকে কাঁচা মরিচের ঝালে দিশেহারা অবস্থা সাধারণ ক্রেতারা।
শহরের পৌর সবজি বাজার ও রেলগেট বাজার ঘুরে দেখা যায়, কুন্দল পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি মরিচ ৩৮০ টাকায় কিনে খুচরা বাজারে দোকানদাররা বিক্রি করছেন ৪০০ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা কেজিতে ২০ টাকা বেশি নিচ্ছেন। এর ফলে মরিচের বাজার দরে অতিষ্ঠ ক্রেতারা। কাঁচা মরিচের দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই তা না কিনে শুকনো মরিচ বা মরিচের গুঁড়া কিনে বাড়ি ফিরছেন।
সাদিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, আলু, বেগুন, ঢেঁড়স, মরিচ, পেঁয়াজ, আদা, হলুদ বরবটি, কচুরলতি, পটলসহ সব কিছুর দামই বেশি। ব্যবসায়ীরা অজুহাত দিচ্ছেন অন্যান্য সবজিসহ মরিচের আমদানি নাই। তাই মরিচসহ প্রত্যেকটি কাঁচামালের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, ফেসবুকে দেখলাম প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম কমেছে কিন্তু বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। সেনাবাহিনী বা ছাত্রসমাজ মনিটরিং না করায় খুচরা ব্যবসায়ীরা চড়া দামে এসব পণ্য বিক্রি করছে। তারা মনিটরিং করলে প্রতিটি পণ্যের দাম কমবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৮ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদ করা হয়েছে। আবাদের শুরুর দিকে বৃষ্টি না হওয়ায় আশাতীত ফলন হয়নি। এর কারণে ফলন কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।
শহরের কুন্দল এলাকার কাঁচামালের আড়তদার নিরাশা জানান, গত কয়েকদিনে রংপুর, বদরগঞ্জ, খানসামা ও নীলফামারীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের আড়তে কাঁচা মরিচ আসতো। কিন্তু চলতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় চাষিদের আবাদকৃত মরিচ গাছ মরে যাওয়ায় বাজারে অনেকটা প্রভাব পড়েছে। এ কারণে পাইকারি ভাবে প্রতি কেজি মরিচ ৩৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ জানান, আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় মরিচের উৎপাদন কমেছে। ফলে দাম একটু বেশি। তবে কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।