অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালায় শিথিলতা

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালায় ব্যাপক শিথিলতা আনলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকগুলো নিজেদের দেশের ভেতরের তহবিলের উৎস থেকে মূলধনের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত তহবিল বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবে।

আর যদি কোনো ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং অপারেশনের (ওবিও) মাধ্যমে ডমেস্টিক ব্যাংকিং ইউনিট (ডিবিইউ) তহবিলের স্থানান্তর ৩০ শতাংশের সীমা অতিক্রম করে তবে তা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেশীয় তহবিল বন্ধ করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও এ ধরনের সুবিধা চালু হয় ২০১৯ সালে।

দেশের বাইরে থেকে তহবিল সংগ্রহ করে রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিতরণের জন্য ১৯৮৫ সাল থেকে বাংলাদেশে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বিদ্যমান নীতিমালার আলোকে অফশোর ব্যাংকিংয়ের জন্য সিআরআর ৪ শতাংশের পরিবর্তে ২ শতাংশ সংরক্ষণ করতে হয়।

অফশোর ব্যাংকিং হলো ব্যাংকের ভেতরে পৃথক ব্যাংকিং সেবা। প্রচলিত ব্যাংকিং বা শাখার কার্যক্রমের চেয়ে ভিন্ন অফশোর ব্যাংকিং। কারণ এ জাতীয় কার্যক্রমে আমানত গ্রহণ ও ঋণ দেওয়ার দুই কার্যক্রমই বৈদেশিক উৎস থেকে আসে ও বিদেশি গ্রাহকদের দেওয়া হয়।