করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে ১৪ এপ্রিল থেকে সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। নির্ধারিত সময়সূচী এবং বিধি-নিষেধ মেনে খোলা থাকবে হোটেল-রেস্তোরাঁ গুলো।
১২ এপ্রিল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৪ এপ্রিল থেকে খাবারের দোকান, হোটেল ও রেস্তোরাঁ দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে হোটেল ও রেস্তোরাঁয় বসে কেউ খাবার খেতে পারবেন না। শুধু খাবার কিনে নিয়ে যাওয়া যাবে। অনলাইনেও খাবার কেনা যাবে।
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এক বিবৃতি দেয়। ১২ এপ্রিল সোমবার দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দুর্যোগ মুহূর্তে এই উপযোগী সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি আনবে।’
খাবার দোকান গুলো খোলা থাকতে ভিড় এড়ানো সম্ভব কিনা এই প্রশ্নের জবাবে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষজন এখন অনেক সচেতন হচ্ছে। অপ্রয়োজনে বাইরে আসা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ সেটা মানুষ উপলব্ধি করতে পারছে। সে ক্ষেত্রে যারা আসবে খাবার কিনতে তাদেরকে অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে এবং যারা দোকান বা রেস্টুরেন্ট গুলোতে খাবার বিক্রি করবে, তারা যেন ৬ ফুট দূরত্বের সীমানা রেখা করার ব্যাপারটি নিয়ে সচেতন থাকে।’
মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সবচাইতে বড় কথা হলো ব্যক্তি সচেতনতা। ব্যক্তি সচেতনতা তৈরি করাটাই সবচেয়ে বড় কথা। আমি আক্রান্ত হলে আমার পরিবার আক্রান্ত হবে এসব কিছু ভেবেই আমাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে।