ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দিনাজপুরে অনিয়মের অভিযোগে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে মোট ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার বেলা ১১টার দিকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের সামনে অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম।
অভিযানে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে লাইসেন্স না থাকা, কর্তব্যরত চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত নার্স, টেকনোলজিস্ট না থাকায় এবং অপরিচ্ছন্নতার জন্য বন্ধন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৩০ হাজার, প্রাইম পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১৫ হাজার ও যমুনা ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর মধ্যে বন্ধন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিবন্ধনের কাগজ ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত টেকনিশিয়ান না পাওয়ায় এবং দালালদের মাধ্যমে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীকে নিয়ে এসে চিকিৎসক ছাড়াই রিপোর্ট প্রদান করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে প্রশিক্ষণ ও সনদধারীদের নিয়োগ প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
প্রাইম পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধনের কাগজপত্র না থাকায় ১৫ হাজার টাকা এবং একই অপরাধে যমুনা ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে, অভিযানের খবর পেয়ে অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে পালিয়ে যান মালিকরা।
তবে নিবন্ধনের বিষয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা জানান, তারা আবেদন করার পরও পরিবেশের ছাড়পত্র না পাওয়ায় নিবন্ধন পাচ্ছেন না।
সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, অভিযানের সময় ২৪ ঘন্টায় কর্তব্যরত একজন ডাক্তার থাকার কথা এবং ডায়াগনন্টিক সেন্টার ও প্যাথলজি সেন্টারগুলোর জন্য একজন স্পেশালিস্ট থাকার কথা থাকলেও কোনো ডায়াগনস্টিক সেটারে পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন অনিয়মের কারণেই এই অর্থদণ্ড এবং সতর্কতামূলক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অনিয়মের সংশোধন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলায় অসংখ্য অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। যতদিন প্রয়োজন ততদিন পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।