ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বাজার দর স্থিতিশীল রাখতে আরও চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-১ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের ১২ প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাজার দর স্থিতিশীল রাখতে এ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাজার দর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সীমিত আকারে সীমিত সময়ের জন্য বর্ণিত প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের উল্লেখিত পরিমাণে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ দফায় অনুমতি দেওয়া হচ্ছে ১২ প্রতিষ্ঠানকে। ডিম আমদানি করার ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে।
এর প্রথমটি হলো, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু-মুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে।
দ্বিতীয়টি হলো, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া-মুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে।
তৃতীয়টি হলো, ডিম আমদানির প্রতিটি চালানের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। আর চতুর্থটি হলো, আমদানির অনুমতি পাওয়ার সাত দিন পর পর অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।
এর আগে গত মাসেও এক দফায় ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। পরে গত ৮ অক্টোবর সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু ডিম আসে সামান্যই।
টানা চার দিন সরকারি ছুটি থাকায় আমদানি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ডিম আমদানি খুব বেশি হয়নি। পরে ১৭ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নতুন করে আরও চার কোটি ডিম আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী দেশে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে।