ডিমের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে সময় দরকার: ভোক্তা ডিজি

ডিমের দাম পুরোপুরি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও কিছুটা সময় চায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বুধবার ডিমের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ডিলার, ডিম ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) আমির আক্তার খান এ কথা বলেন।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

আমির আক্তার খান বলেন, ডিম বাজারজাতকরণে মধ্যস্বত্বভোগী বা স্তর কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এর ফলে বাজার ডিমের দাম কমেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে পুনরায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু সব ব্যবসায়ী আসেননি।

তিনি বলেন, পরবর্তী সভায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ প্রতিনিধি উপস্থিত থাকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে নেওয়া উদ্যোগ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারে।

ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ডিমের সরবরাহ বন্ধ করে সাপ্লাই চেইন বিঘ্নিত করা, ডিম অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি এবং ক্যাশ মেমোতে উল্লিখিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে ডিম বিক্রি করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎপাদিত ডিমের ২০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। ৮০ ভাগ ডিম উৎপাদনকারী বাইরে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব ডিম ব্যবসায়ীকে উৎপাদনকারী সমিতির মাধ্যমে নেটওয়ার্কের মধ্যে আনা হবে, যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণে তাদের কাছে নির্দেশনা পৌঁছানো যায়।

আমির আক্তার খান বলেন, আগের বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সব ডিম রাজধানীর নির্দিষ্ট মার্কেটে সরবরাহ করার কথা ছিল। কিছু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কিছু ডিম সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকাতে বিক্রি করেছে, কিছু ডিম বাইরে বিক্রি করেছে। তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিমের দাম কমাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধমে নির্দেশনা দিয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, স্থানীয় উৎপাদক এবং প্রান্তিক খামারিদের সম্পৃক্ত করে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে বলে জানান জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে ডিমের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে কোনো অসঙ্গতি পেলে স্থানীয় প্রশাসনকে তাৎক্ষণিক ভাবে অবহিত করার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিম বাজারজাতকরণের প্রত্যেকটা স্তরে আগের সরকারের সময়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ছিল উল্লেখ করে ভোক্তা ডিজি বলেন, এ নিয়ন্ত্রণ এক সরকার চলে গেলে নতুন সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় চলে যায়। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এসব নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার বাইরে রেখে ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাই।