ভোলায় ভোক্তা-অধিকার আইন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

মো. সুলাইমান: ‘নিজের অধিকার বিষয়ে নিজে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করি, গুজবে কান না দিয়ে নিজের ও দেশের উন্নতিতে অবদান রাখি’ এমন স্লোগানে ভোলায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অধিকতর প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহযোগিতায় মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান।

সেমিনারে জেলা প্রশাসক ভোক্তাদের বিভিন্ন অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও করণীয়গুলো অবহিত করেন। তিনি বলেন, একটা সমাজকে পরিবর্তন করতে হলে আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। সবাই ভোক্তা, সবাই পণ্য কেনেন। যার যার স্থান থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

সকল শ্রেণীর ব্যবসায়ীকে যৌক্তিক মুনাফা করার ও বাজারে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।

তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল পণ্য বিক্রি করেন শুধু নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। আর মানুষ যখন সেই ভেজাল খাবার খায় তখন তাদের বিভিন্ন ধরনের অসুখ হয়। তাই যারা ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণ না করে উল্টো অধিকার হরণ করে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে।

ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন আরও প্রচার-প্রসার করতে ও এই আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে যুব সমাজ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করেন তিনি। তাই এই আইন সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মনজুর হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম,
উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার, জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, ভোক্তা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভোলা জেলার সভাপতি মো. সুলাইমান, সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদী জাহান, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ববৃন্দ।

ভোক্তা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সভাকক্ষের ফ্লোর উন্মুক্ত হলে উপস্থিত সদস্যবৃন্দ বাজারে বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরেন এবং আইনের কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানান।