ভোক্তা পর্যন্ত আসতেই প্রায় দ্বিগুণ হয় পটলের দাম

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: কৃষকের কাছ থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে পটলের দাম বেড়ে হয় প্রায় দ্বিগুণ। এতে বিপাকে পড়ছেন নিম্নআয়ের মানুষজন।

জানা যায়, নওগাঁয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমিতে চাষ হয় পটলের। এ জেলায় পটলের চাষ হয়েছে এক হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে। এসব জমি থেকে উৎপাদিত পটলের পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার ৪৭০ মেট্রিক টন। এসব পটল কৃষকের কাছ থেকে সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে পটলের দাম বেড়ে যায় কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলার সদর উপজেলা, বদলগাছি উপজেলা এবং মান্দা উপজেলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমিতে পটল চাষ হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে নওগাঁ সদর উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে, বদলগাছী উপজেলায় ৩৮৫ হেক্টর এবং মান্দা উপজেলায় ২৬০ সেক্টর জমিতে পটলের চাষ হয়েছে। এছাড়াও রানীনগর উপজেলায় ১০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ২০ হেক্টর, মহাদেবপুরে ৮০ হেক্টর, পত্নীতলায় ৬০ হেক্টর, ধামইরহাটে ৮০ হেক্টর সাপাহারে ২৫ হেক্টর, পোরশায় ৩৫ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে পটলের চাষ হয়েছে।

জেলার বদলগাছি, কোলা, ভান্ডারপুর, মাতাজি হাট, প্রসাদপুর, তেতুলিয়া, কীর্তিপুর, গোবর চাপা, দেলুয়াবাড়িসহ বিভিন্ন হাটে পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতি মণ পটল ১৬০০ টাকায় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করছেন। এতে প্রতি কেজি পটলের পাইকারি দরে দাম পড়ছে ৪০ টাকা। এবং এসব পটল পাইকারি ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট প্রতি কেজি বিক্রি করছেন ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা সাধারণ ভোক্তাদের নিকট থেকে প্রতি কেজি পটলের মূল্য আদায় করছেন ৬০ টাকা।

শীতকালীন পটল বাজারে আসতে শুরু হলেইদাম কমে যাবে আশা করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।