জ্বালানি রুপান্তরের সন্ধিক্ষণে সাহিত্য ও সংস্কৃতিজনের ‘দায় ও দরদ’ শীর্ষক ক্যাবের সেমিনার অনুষ্ঠিত

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ‘জ্বালানি রূপান্তরের সন্ধিক্ষণে সাহিত্য ও সংস্কৃতিজনের ‘দায় ও দরদ’ শীর্ষক সেমিনার করেছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলা মোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাংবাদিক ও গবেষক ড. কাজল রশিদ শাহীন।

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নাট্যজন ড. সামিনা লুৎফা নিত্রা, লেখক ও গবেষক গওয়ার নঈম ওয়ারা, সংবিধান বিষয়ক গবেষক এডভোকেট আরিফ খান, কথাসাহিত্যিক সুহান রিজওয়ান।

আলোচনায় অংশ নেন ঔপন্যাসিক সাজেদুল ইসলাম, কবি ও হালখাতা সম্পাদক শওকত হোসেন, কবি ও সম্পাদক ইমরান মাহফুজ, নারীবাদী লেখক ও সাংবাদিক জব্বার হোসেন, লেখক ও সাংবাদিক মসরুর শাকিল, কবি ও অনুবাদক অনন্ত উজ্জ্বল, কবি মারুফা কলি, উন্নয়নকর্মী ও লেখক নাজমুল আহসান, ফটোগ্রাফার ও সংগঠক মেসবাহউদ্দীন সুমন, নদী বিষয়ক গবেষক ও ছোটকাগজ সম্পাদক ফয়সাল আহমদ, অনুবাদক গাজী মনসুর আজিজ, বাউলশিল্পী সরদার হীরক রাজা, কবি ও সাংবাদিক হোসেন শহীদ মজনু, চলচিত্র গবেষক মোমিন রহমান, শিক্ষক ও গবেষক আঞ্জুমান আরা, জ্বালানি বিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক আনিস রায়হান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সমন্বয়ক কুররাতুল আইন কানিজ, সাংবাদিক ও ক্যাবের প্রচার সম্পাদক মুসা মিয়া, ক্যাবের নির্বাহী সদস্য শওকত হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শুভ কিবরিয়া।

অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, ‘জ্বালানি রপ্তানি ঠেকাতে জীবন দিয়েছে মানুষ। রপ্তানি ঠেকানো গেছে। তার বদলে দেশটা জ্বালানি আমদানির বাজারে পরিণত হয়েছে। শাসকদের মধ্যে দায় ও দরদ কোনোটাই ছিল না। জ্বালানি সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা যায়নি, অলিগার্ক (লুটেরা গোষ্ঠী) তৈরি করা হয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘রাজনীতি ছাড়া কোনো শিল্প হয় না। আর জ্বালানি তো মানুষের অধিকারের জায়গা, সেই জায়গা থেকে এটি নিয়ে ভাবতে হবে। সাহিত্যে বিভিন্ন সময় জ্বালানির বিষয়টা এসেছে। এটি নিয়ে লেখক, সংস্কৃতিজনরা ভাবতে পারে। এটি যেন নিজেদের দায় থেকে আসে। তবে এটি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার মতো বিষয় নয়।’

গবেষক ও লেখক গওহার নঈম ওয়ারা বলেন, ‘মানুষের জ্বালানি ‘খাসলত’ (অভ্যাস) পরিবর্তন করতে হবে। এতে জ্বালানি সাশ্রয় হবে। তরুণদের কাছে বেশি করে যেতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির কোনো ভবিষ্যৎ নেই। সবুজ জ্বালানি বাড়াতে কাজ করতে হবে।’

আলোচনা সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন করেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া।

মূল বক্তব্য উপস্থাপক গবেষক ও সাংবাদিক ড. কাজল রশীদ শাহীন বলেন, ‘ইতিহাসের বাঁক বদলে দায় ও দরদ সবকিছুকে এগিয়ে নিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশের যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, সেটির বাস্তবায়নে দায় ও দরদ লাগবে। জ্বালানি রূপান্তরের সন্ধিক্ষণে ভোক্তাদের দুঃখ-দুর্দশা ও তা লাঘবের বিষয়টি আমাদের মঞ্চ নাটক, চলচ্চিত্র, কবিতা, গান, উপন্যাস, কথাসাহিত্য, যাত্রা, পথনাটক, ফটোগ্রাফি, পেইন্টিংসহ শিল্প-সাহিত্যের বিবিধ ও বহুমাত্রিক অঙ্গনের বিষয় হয়ে উঠতে পারেনি। ফলে, সাধারণ বৃহত্তর আমজনতার কাছে তা যেতেও পারেনি।’

এ ক্ষেত্রে সাহিত্য ও সংস্কৃতিজনরা বিশেষ করে লেখক, কবি, চিত্রশিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাহিত্যিকরা এগিয়ে আসতে পারে।

-এসএম