ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সাতটি ফার্মেসিকে মোট ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের ফার্মেসিসমূহে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।
অভিযানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাণকেন্দ্রের ফার্মেসিসমূহের সার্বিক অবস্থা পরিদর্শনসহ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বা মূল্যতালিকাবিহীন ওষুধ বিক্রয় করা হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এদিকে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান দেখে একাধিক ফার্মেসি বন্ধ করে পালিয়ে যান মালিকরা।
ফার্মেসিগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ ফার্মেসিতে ফ্রিজের ব্যবস্থা নেই। কয়েকজন ছাড়া বাকি কারো কাছে ফার্মাসিস্ট সনদ নেই। এমনকি অনেকের কাছে ফার্মেসির যথাযথ লাইসেন্সও নেই।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্ত বলেন, কোটালীপাড়ার ফার্মেসিগুলোতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। ফার্মেসিগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে ঔষধ ও কসমেটিকস আইনের, ২০২৩ এর ৪০ (খ) ধারা অনুযায়ী তাদের অর্থদণ্ড করা হয়।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ দোকানে মিলেছে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ। দুই বছর পূর্বের মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখায় মা মেডিকেল হলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আরও পাঁচ ফার্মেসিকে তিন হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। ফার্মেসিগুলো হলো, কাশেম ড্রাগ হাউস, ফ্রেন্ডস মেডিকেল হল, মেসার্স সিকদার ফার্মেসি, মেসার্স সবুজ ফার্মেসি ও শেখ ফার্মেসি। মেসার্স খান ফার্মেসিকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডাক্তারের পরামর্শপত্র ছাড়া ঘুমের ঔষধ বিক্রয় না করার জন্য দোকান মালিকদের পরামর্শ প্রদান এবং পরবর্তীতে এ ধরনের অপরাধ না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়। অভিযান পরিচালনা শেষে জব্দকৃত ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
এ সময় কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কুমার মৃদুল দাস, ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক বীথি রানী মন্ডলসহ উপজেলা ভূমি অফিসের ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহীনুর আক্তার বলেন, জনস্বার্থে এরূপ অভিযান অব্যাহত থাকবে।