আজ (১৮ এপ্রিল) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোভিড-১৯ উদ্যোক্তা বান্ধব তহবিলের উদ্বোধন অনুষ্টানে (ভার্চুয়ালি) প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। যেখানে তিনি বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মেডিকেল পণ্য উৎপাদনে সহযোগিতা দিতে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, মানুষের জীবন বাচাতে এখন মেডিকেল পণ্যের খুবই প্রয়োজন। কোভিড-১৯ বিশ্বের অর্থনীতিকে দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। বিশ্বব্যাংক মেডিকেল পণ্য উৎপাদনে সহযোগিতা দিতে এগিয়ে এসেছে। এ অনুদানের মাধ্যমে মেডিকেল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উৎসাহিত হবে। কেবল স্থানীয় বাজারের জন্য নয়, বৈদেশিক বাজারে রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তারাও এ কর্মসূচির মাধ্যমে সুবিধা পাবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ কর্মসূচি একটি মাইলস্টোন। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) উৎপাদন, ডায়াগনস্টিক ইক্যুইপমেন্ট ও ক্লিনিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট তৈরিতে যুক্ত উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন। এ ধরনের সহায়তা সময়োপযোগি পদক্ষেপ। আমাদের দক্ষতা দিয়ে এ কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ তহবিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের মানুষ উপকৃত হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় মেডিকেল এন্ড পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট(এমপিপিই) পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্টানগুলোর জন্য “কোভিড-১৯ এন্টারপ্রাইজ রিসপন্স ফান্ড” এর মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ম্যাচিং গ্রান্ট প্রোগ্রামের দি এক্সপোর্ট রেডিয়েন্স ফান্ড(ইআরএফ) হিসেবে ১৭.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করা হবে। এমপিপিই পণ্য সামগ্রী উৎপাদনে সক্ষম প্রতিষ্ঠানগুলো এ অনুদার পাবার যোগ্য হবেন। এ অনুদানের পরিমান সর্বোচ্চ ৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। অনুদান আবেদনকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিভুক্ত হলে এ প্রকল্প থেকে ৬০ শতাংশ অনুদদান পাবেন আর আবেদনকারীর অংশগ্রহণ থাকবে ৪০ শতাংশ। এছাড়া বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে অনুদানের পরিমাণ হবে ৫০ শতাংশ। যেসব পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে এ অনুদান প্রযোজ্য হবে তা হলো পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), ডায়াগনোস্টিক ইকুইপমেন্ট, ক্লিনিক্যাল কেয়ার ইকুইপমেন্ট। এমপিপিই পণ্যের ডিজাইন ও কারিগরি মানের উন্নয়ন, প্যাকেজিং ও বৈচিত্র্য আনয়ন এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন প্রণয়ন, এমপিপিই পণ্যের সহায়তামূলক কর্মকান্ড যেমন, গবেষণা, পন্য উন্নয়ন, টেস্টিং ও সার্টিফিকেশন এবং নতুন উদ্ভাবন।