পাঁচটি দেশে প্রবাসী কর্মীদের যাওয়ার জন্য বিশেষ ফ্লাইটগুলোতে সব ধরনের যাত্রী নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য যাত্রীর তুলনায় প্রবাসী কর্মীরাই অগ্রাধিকার পাবে।
আজ মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বেবিচক এক নির্দেশনায় এ কথা জানিয়েছে। ২১ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত ওই পাঁচটি দেশে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘যাত্রীরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও সঙ্গে নিতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রেও প্রবাসী কর্মীরা অগ্রাধিকার পাবেন।’
এ ছাড়া বিশেষ বিবেচনায় ঢাকা-গুয়াংজু-ঢাকা ফ্লাইট চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ আরেকটি পৃথক নির্দেশনায় বেবিচক জানিয়েছে, ‘এয়ারলাইনসগুলো শুধু পয়েন্ট টু পয়েন্ট যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। করোনা টিকা নেওয়া থাকলেও যাত্রার নির্ধারিত সময়ের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীদের করোনার পরীক্ষা করে নেগেটিভ সনদ নিতে হবে। এরপর দেশে এলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অথবা নিজ খরচে হোটেলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।’
চীনের ফ্লাইটগুলো সম্পর্কে বেবিচকের নির্দেশনা, ‘উড়োজাহাজের ইকোনমি ক্লাসে একটি সারি ও বিজনেস ক্লাসে একটি কেবিন সন্দেহজনক করোনায় আক্রান্ত যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ রাখতে বলা হয়েছে। চীনে ফ্লাইট পরিচালনা করার এ নির্দেশনাগুলো ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বহাল থাকবে।’
গত শনিবার (১৭ এপ্রিল) থেকে প্রবাসী কর্মীদের কর্মস্থলে ফেরা নিশ্চিত করতে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর—এই পাঁচ দেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয় বেবিচক।
বিশেষ ফ্লাইটগুলোতে শুধুমাত্র প্রবাসী কর্মীদের যাওয়ার ও আসার নির্দেশনা থাকলেও বেবিচকের নির্দেশনায় এখন সব ধরনের যাত্রী যেতে পারবেন। কিন্তু এসব দেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরত এলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে প্রবাসী কর্মীদের।
৫ এপ্রিল থেকে দেশে অভ্যন্তরীণ সব পথে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে গত বুধবার (১৪ এপ্রিল) ভোর থেকে আন্তর্জাতিক সব পথে ফ্লাইট চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বেবিচক। তবে দেশে আটকে পড়া প্রবাসী শ্রমিকদের কথা ভেবে সরকার গত শনিবার থেকে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়।