বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতিমণ পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৪১০০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহের শেষ দিকে (বুধবার পর্যন্ত) ৩৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেই হিসেবে মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে প্রতিমণ পাম অয়েলের দাম ৩০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভোগপণ্যের বাজারে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। সাধারণত প্রতিমণ (৪০ দশমিক ৯০ লিটার) পাম অয়েল বিক্রি হয় ২০০০-২৫০০ টাকার মধ্যে। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে দফায় দফায় বেড়ে বর্তমানে পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে প্রতিমণ পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৪১০০ টাকায়।
পাইকারি কিংবা খুচরায় এতো বেশি দামে এর আগে কখনো পাম অয়েল বিক্রি হয়নি। সর্বশেষ গত তিন দিনে পণ্যটির দাম মণে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর্ন্তজাতিক বাজারে বুকিং দর কমতে শুরু করলেও আমদানিকারকরা সিন্ডিকেট করে দেশীয় বাজারে পণ্যটির দাম বৃদ্ধি করছে বলে অভিযোগ ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের।
ভোগ্যপণ্যের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতিমণ পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৪১০০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহের শেষ দিকে (বুধবার পর্যন্ত) ৩৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেই হিসেবে মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে প্রতিমণ পাম অয়েলের দাম ৩০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে টিকে গ্রুপের বে ফিশিং পাম অয়েল মণপ্রতি ৪১০০ টাকা, এস আলম ৪০৯০ টাকা এবং সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ ও বসুন্ধরা গ্রুপের পাম অয়েল ৪০৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আর্ন্তজাতিক বাজারে ভোজ্যতেল বিশেষ করে পাম অয়েলের বাজার নিম্মমুখী। মালেয়শিয়ায় এখন নতুন মৌসুমের পাম বাজারে আসছে। এতে গত দুই সপ্তাহে মালেশিয়ায় প্রতিটন পাম অয়েলের দাম কমপক্ষে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দুই-তিন সপ্তাহ আগে যেই পাম অয়েলের বুকিং দর ৪২০০ রিঙ্গিত (টনপ্রতি) ছিল তা এখন ৩৭০০ রিঙ্গিতে চলে এসেছে। এরপরও দেশীয় আমদানিকারকরা সিন্ডিকেট করে পণ্যটির দাম বাড়িয়ে চলছে।