সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে আবারো অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের ভোজ্যতেল এবং চিনির বাজার। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি ভোজ্যতেলে ৩ টাকা এবং চিনিতে এক টাকা করে বেড়ে গেছে। তবে ক্রেতা না থাকায় কমেছে আদা-রসুন-পেঁয়াজ এবং ডাল ও ছোলার দাম।
মাত্র দুই সপ্তাহের বিরতি দিয়ে আবারো চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বাড়তে শুরু করেছে ভোজ্যতেলের বাজার। মিল থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই অজুহাতে প্রতিদিনই বাড়ছে তেলের দাম।
গত তিন দিনে প্রতি মণ ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে ১০০ টাকার বেশি বলে জানান খাতুনগঞ্জের মেসার্স আব্বাস সওদাগরের ম্যানেজার জাফর আহম্মদ।
ভোজ্যতেলের মতো চিনির বাজারও অস্থির। প্রতি মণ চিনিতে একদিনে ৩০ টাকা বেড়ে পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩৬০ টাকা দরে জানান খাতুনগঞ্জ মেসার্স আলতাফ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক আবদুল গফফার। বলেন, সরবারাহ যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলে তো চিনি দাম বাড়ার কথা ছিল না। কিন্তু কয়েকটি মিল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখছে না। তাই দামটা বেড়েছে আবার আন্তর্জাতিক বাজারের একটু দাম বাড়তি। মিলারও দাম বেশি চাচ্ছে তাই বেড়েছে।
তবে রমজানের মধ্যবর্তী সময়ে এসে কমেছে ছোলাসহ সব ধরনের ডালের দাম বলে জানান মেসার্স তৈয়বীয়া ট্রেডার্সের মালিক সোলেমান বাদশা।
মেসার্স অছি উদ্দিন সওদাগরের মালিক রিগ্যান চৌধুরী বলেন, লকডাউনের মাঝেও আদা-রসুন এবং পেঁয়াজের বাজার পরিপূর্ণ। যে কারণে দামও নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে।
বিগত বছরগুলোতে রোজার শুরুতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি করা হলেও এবার তার কিছুই নেই।