বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী রোববার সকালে জানান, গ্লোব বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিনের নৈতিক অনুমোদন দেওয়া হবে।
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে এ পর্যন্ত দুটি চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে। তবে গত দুই মাসে দেশে টিকার কোনো চালান আসেনি। কবে নাগাদ টিকার চালান আসতে পারে, তা কেউ বলতে পারছে না। ক্রয় ও উপহার হিসেবে বাংলাদেশ ভারত থেকে পেয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ডোজ টিকা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত দেশে প্রথম ডোজ টিকা যে সংখ্যক মানুষ নিয়েছেন, তাতে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে প্রায় ১০ লাখ ডোজ টিকার ঘাটতি রয়েছে। এতে প্রথম ডোজ নিতে পারলেও ১০ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
দেশের করোনার টিকা উদ্ভাবনের একমাত্র দাবিদার গ্লোব বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিনের নৈতিক অনুমোদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি অপারেশন্সের ম্যানেজার ও ইনচার্জ এবং টিকা আবিষ্কার গবেষক দলের সদস্য মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, যে প্রযুক্তিতে আমাদের টিকা তৈরি করেছি, মডার্না ও ফাইজারের টিকার প্রযুক্তি প্রায় একই। এই দুইটা ভ্যাকসিন জরুরি অনুমোদন নিয়ে তাদের দেশের করোনা সংক্রমণ তারা নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। তারা যে নকশা করেছিল, সেটা করোনার প্রথম দিকে। এগুলোকে বলা যায় প্রথম জেনারেশনের ভ্যাকসিন। আমাদের যে নকশাটা সেটা সেকেন্ড জেনারেশন ভ্যাকসিন। কারণ আমরা এটা গত বছর মার্চ থেকে শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, ভাইরাসের যে মিউটেশনের কারণে মানুষ বেশি সংক্রমিত হতো, সেটা হচ্ছে ডি৬১৪জি। আমরা কিন্তু এটাকেও বিবেচনায় নিয়েছি। পাশাপাশি আমাদের ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের ইঞ্জিনিয়ারিংটা এমনভাবে করেছি যে, যেকোনো ধরনের মিউটেশন যদি হয় সেক্ষেত্রেও আমাদের ভ্যাকসিন কার্যকর ভূমিকা রাখবে। কিন্তু আমরা তো এখন পর্যন্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালটাই শুরু করতে পারি নাই। যার কারণে আমরা এই মুহূর্তে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারবো না যে, এটি বর্তমান করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করবে কি, করবে না।