আজ ২৫ এপ্রিল ২০২১, রবিবার ঢাকাসহ সারাদেশে ৩০টি মনিটরিং টিম কর্তৃক ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ৫৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ২,২৪,৫০০/- জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে ৬টি মনিটরিং টিম কর্তৃক ১০টি বিভিন্ন পাইকারী, খুচরা বাজারে তদারকি করা হয়। রাজধানীর এসকল বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক উপপরিচালক জনাব বিকাশ চন্দ্র দাস,ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব আব্দুল জব্বার মন্ডল, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব ফাহমিনা আক্তার ও প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব প্রনব কুমার প্রামানিক।
এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত মোবাইল টিমের সাথে বাজার তদারকি করেন অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব রোজিনা সুলতানা ও সহকারী পরিচালক জনাব মাগফুর রহমান এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, ক্যাবসহ সংশ্লিষ্ট শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ অধিদপ্তর পরিচালিত বাজার অভিযানে সহযোগিতা প্রদান করেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, মোহাম্মদপুর টাউনহল, সাদেক খান কৃষি মার্কেট, রায়ের বাজার, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট,খিলগাঁও, নিউমার্কেট, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া এলাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্যের দোকান, সুপারশপ ও ফার্মেসীতে তদারকিকালে সবজি, পেঁয়াজ, ছোলা,ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি,খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য যৌক্তিকমূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হয়। একইসাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা সঠিকভাবে প্রদর্শন, নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রয়,পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ, মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত মূল্যের সাথে বিক্রয় রসিদের গরমিল, সঠিক ওজন, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ও ঔষধ, নকল পণ্যসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী কোন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। তদারকিকালে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও পণ্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে পরিলক্ষিত হয় এবং সরকার নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, ছোলা, ডাল,চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য বিক্রি হতে দেখা যায়। এসময় পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা ও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশী দামে পণ্য বিক্রয় ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণের অপরাধে কয়েকটি নিত্যপণ্যের দোকান ও ফার্মেসীকে জরিমানা আরোপ করা হয় এবং এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হতে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।
বাজার তদারকিকালে ভোক্তা অধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীবৃন্দের মধ্যে লিফলেট, প্যাম্পলেট বিতরণ এবং করোনাকালে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের জন্য হ্যান্ডমাইকে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতকরণসহ স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।বাজার তদারকির পাশাপাশি ঢাকাসহ সারাদেশে টিসিবি’র সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্যসমূহ (ট্রাক সেল) যথাযথ নিয়ম মেনে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হয়।
এ বিষয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহা বলেন, পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে স্থিতিশীল রাখতে অধিদপ্তরের বাজার তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। যৌক্তিক ও ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রয় এবং নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ব্যবসায়ীগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান তিনি।
এছাড়াও তিনি নিত্যপণ্যের বাজারে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের জন্য ভোক্তা-ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া।