সুপার শপগুলোতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। এক সপ্তাহ আগে এসব সুপার শপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আর ইন্ডিয়ান কালো তরমুজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। সে হিসেবে প্রতিটি তরমুজের দাম পড়ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের কারণে দাম বেড়ে গেছে।
সাত থেকে ১০ কেজি ওজনের তরমুজ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ৬৭ টাকা দরে। গত ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ছাড়ে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হলেও আজ সোমবার থেকে ৬৭ কেজি বিক্রি হচ্ছে। বড় সাইজ হওয়ায় একটি কেটে দুই ভাগ করেও বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর ইন্ডিয়ান কালো তরমুজ ৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডের আগোরা সুপার শপে।
সুপের শপের ম্যানেজার সোহাগ জানান, মিরপুরের প্রিন্স বাজারে ৬০ টাকা দরে কেজিতে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। কালো তরমুজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব তরমুজ মিরপুর ১ নম্বর আড়ৎ থেকে ৫৮ টাকা কেজি দরে কেনা হয়েছে আমরা গত এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি তরমুজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। লকডাউনের কারণে পরিবহন সংকট থাকায় দাম বেড়েছে।
সৈয়দ শাহেদুল ইসলাম বলেন, দু’দিন পরপর তরমুজের দাম বাড়নো হচ্ছে। রোজার আগে ১০০ থেকে ১৩০ টাকায় বড় একটি তরমুজ কেনা যেত। রোজা শুরু হওয়ার পর ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের কারণে এ পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন এই ক্রেতা।
আরেকটি সুপার শপেও ৬০ টাকা দরে তরমুজ বিক্রি হতে দেখা যায়। তারা বলেন, গত কয়েকদিন অফার থাকায় দাম কম থাকলেও গতকাল থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে।
এক বিক্রয়কর্মী বলেন, মঙ্গলবার প্রতি কেজি তরমুজের দাম ৫ টাকা করে কমেছে। গতকাল তরমুজ ৬৫ টাকা আর ৭০ টাকা (কালো) দরে বিক্রি হয়েছিল এবং বিক্রয়কর্মী বাবু বলেন, মানের কারণে দাম কিছুটা কমবেশি হয়। এখানেও দাম কম ছিল। তবে গত কয়েকদিন ধরে দাম বেড়েছে।
সাধারণ জনগণ বারবার তরমুজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে অভিযোগ করছেন।