বাজারে আবার তেলের দামও বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।রাজধানীর মধ্যবাড্ডা ও মেরুল বাড্ডা এলাকায় দেখা গেছে, কাঁচাবাজার ও মুদি দোকানগুলোতে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়।
মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী ময়নুল আহমেদ বলেন, করোনার কারণে তেল আমদানি কমেছে। তাই নতুন করে তেলের দাম বাড়তে পারে বলে শুনছি। তবে এখনো বাড়েনি।
তিন প্রকার তেলের মধ্যে সয়াবিন তেলের (খোলা) কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৩৫ টাকায়। বোতলজাত তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।
খোলা পামওয়েলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। আর বোতলজাত পামওয়েল তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। আর দেশি খাঁটি সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে কেজি ২০০ টাকায়।
প্রায় সব ধরনের তেল ২ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তারা বলছেন, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও তেল। সরকারের উচিত কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা।
বেশ কিছুদিন ধরেই তেলের দাম বাড়তি। যারা অনেকদিন আগে কিনেছেন তারা মনে করছেন তেলের দাম বাড়ছে। আসলে বাড়েনি। তবে এখন শোনা যাচ্ছে নতুন করে লিটারপ্রতি দাম আরও ৫ টাকা বাড়তে পারে বলে জানান এক ব্যাবসায়ী।
আতাউর রহমান নামে এক ব্যাংকার বলেন, রামপুরা ও মালিবাগ এলাকায় তেলের দাম বাড়তি। এ বাজারে একটু কম পাচ্ছি, তাই কিনেছি।
তিনি বলেন, ৫ লিটার বোতলের সয়াবিন কিনেছি ৬৫০ টাকায়। পেঁয়াজ কিনেছি ৪০ টাকা কেজি। অথচ মালিবাগ ও রামপুরা বাজারে একই পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে। আর তেল নিচ্ছে ৬৭০ টাকা বোতল।