করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের বেশকিছু কার্যকরী পদক্ষেপের কারণে দ্বিতীয় ঢেউয়ের শনাক্ত ও মৃত্যু দুটোই কমেছিল বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু শপিংমল খুলে দেয়াসহ মানুষের অবাধ বিচরণে সেটি আবার ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ কমো মডেলিং গ্রুপ দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কার কথা জানিয়েছে। জুনের শেষ অথবা জুলাইয়ের দিকে ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ শনাক্ত হতে পারেন। হতে পারে।
বাংলাদেশ কমো মডেলিং গ্রুপের প্রধান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল বলেন, জুনের শেষ দিকে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। আমাদের আপডেট কমো মডেলিংটাও তাই বলছে। এই ধাক্কাটা এখনকার চেয়ে আরো শক্তিশালী হতে পারে। যদিও পরিস্থিতি এখন অনেকটা শিথিল আছে। কারণ লকডাউন বা সরকারের কিছু পদক্ষেপ কার্যকরী হওয়াতে হয়তো এটা সম্ভব হয়েছে। আরো কিছুদিন শিথিল থাকবে বলে আশা করছি। তবে যদি আবার বেপরোয়া হয়ে যায় বা সবকিছু খুলে দেয়া হয় তবে আবার সেই খারাপ পরিস্থিতি চলে আসবে। আর এভাবে আরো কিছুদিন চালালে ভারতের মতো ধাক্কা নাও আসতে পারে। বড় কথা হলো ভাইরাসকে ছড়ানো হচ্ছে কিনা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভারতে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় পার্শ্ববর্তী দেশ হিসাবে আমাদের ঝুঁকি রয়েছে। কারণ ভারতের সঙ্গে আমাদের ভালো যোগাযোগ রয়েছে।
অনেক দেশেই তৃতীয় ধাক্কাটা আসছে তাই আমাদের দেশে ঢেউটা আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেরকম কড়াকড়ি আছে এরকম থাকলে না-ও হতে পারে। মাস্ক ব্যবহার, ভ্যাকসিন নিলে এতো ভয়াবহ নাও হতে পারে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য লকডাউন দেয়া হয়েছিল। তখন আমরা দেখলাম মৃত্যু ও শনাক্ত কমতে শুরু করেছে। এখন শপিংমল খুলে দেয়ার কারণে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বগতিতে। কিছুদিন আগেও সংক্রমণ ১৩৩৯-এ নেমেছিল। কিন্তু আবার সেটি ক্রস করেছে বলে জানান, ড. শাফিউন নাহিন শিমুল।