বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) থেকে নীতিগত অনুমোদন না পাওয়ায় ট্রায়াল শুরু করতে পারছে না করোনাভাইরাসের টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্সের’ ক্লিনিক্যাল।
চার মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত বিএমআরসি’র ইথিক্যাল কমিটি কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। ফলে বঙ্গভ্যাক্সের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।
আগামী জুলাইয়ের আগে সেরাম থেকে ভ্যাকসিন পাওয়া অনিশ্চিত। ফলে বিকল্প উৎস থেকে ভ্যাকসিন আনার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ সরকার। এজন্য চীন ও রাশিয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বৃত্ত ভ্যাকসিন সংগ্রহের চেষ্টাও চলছে। এ প্রেক্ষাপটে নতুন করে আবার আলোচনায় এসেছে দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবন করা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্স।
গ্লোব বায়োটেকের হয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনাকারী দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, ইথিক্যাল কমিটি আমাদের আবেদনটি গ্রহণ করেছে। পরবর্তীতে তারা প্রায় ১০০টি বিষয়ে প্রশ্ন করেছিল সেগুলোর সন্তোষজনক উত্তর আমরা লিখিতভাবে দিয়েছি। কিন্তু তারা পরবর্তীতে আর কিছু জানায়নি।
গ্লোব বায়োটেকের হেড অব কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন গতকাল বলেন, বিএমআরসিতে আবেদন জমার চার মাস পার হলেও আমরা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। এরমধ্যে তাদের কিছু প্রশ্ন ছিল যেগুলোর জবাব আমরা দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ইথিক্যাল কমিটির কাছে মূলত ফেজ-১ ও ফেজ-২ এর ট্রায়ালের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। তারা ছাড়পত্র না দেয়ায় ট্রায়াল শুরু করা যাচ্ছে না। বিএমআরসি ছাড়পত্র না দিলেও গ্লোব বায়োটেককে ট্রায়ালের জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
গ্লোব বায়োটেকের পরিচালক আহমেদ হোসেন বলেন, পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে আশানুরূপ ফলাফলের ভিত্তিতে টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পারতাম, তাহলে হয়তো আমাদের দেশেও করোনার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হতো। টিকা ট্রায়ালে সফল হলে উৎপাদন প্রক্রিয়া কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তখন সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। সরকার অনুমতি দিলে ভ্যাকসিন রপ্তানির সক্ষমতাও গ্লোবের রয়েছে বলে এই পরিচালক দাবি করেন।