করোনা ভাইরাসের টিকার আনার জন্য চেষ্টা চলছে। দেশে টিকার সংকট দেখা দেয়ায় চায়না, রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশ থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা সরকার করছে। একই সঙ্গে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যেসব দেশ তৈরি করছে, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় করণীয় এবং অক্সিজেন সংকট উত্তরণের উপায় শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভাটির আয়োজন করে।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৩ কোটি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অর্ডার করেছি। এর মধ্যে ৭০ লাখ পেয়েছি, আর গিফট হিসেবে আরও ৩০ লাখ পেয়েছি। প্রথম ডোজ হিসেবে আমরা প্রায় ৬০ লাখ ভ্যাকসিন দিয়েছি। আর দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে আরও প্রায় ৩০ লাখ ডোজ দিয়েছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ভ্যাকসিন সংকট নিয়ে সরকার সচেতন আছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ক্রাইসিস আছে। এ লক্ষ্যে আমরা অন্য সোর্স থেকে টিকা পাওয়ার ব্যবস্থা করছি। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। চায়না থেকে আমরা আরও ৫ লাখ ভ্যাকসিন পাবো শিগগরিই। এছাড়া অন্য যেসব দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা তৈরি করে, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছি। আমরা ভ্যাকসিন পেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুতই ভালো সংবাদ দিতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘ভারতে করোনা পরিস্থিতি থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিৎ। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে আজকে ভারতের এই পরিস্থিতি। আমাদের এখানেও ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদের অবস্থাও ভারতের মতো হতে পারে। ঈদে নতুন জামা আনন্দ দিতে পারে তবে এই আনন্দ ট্র্যাজেডিতেও রূপান্তর হতে পারে।’
এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এক থেকে দুই কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশের চলমান টিকা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তত ৪০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।’
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের সঙ্গে বৈঠকে এই আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ মিলিয়ন ডোজ টিকা অতিরিক্ত রয়েছে। আমরা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ১০ থেকে ২০ মিলিয়ন টিকা চেয়েছি। বাংলাদেশ সরকার এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের কাছে, সেখানে ‘ইমিডিয়েট নীড’ হিসেবে ৪০ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন চাওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সরকার সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।’