ঈদ সামনে রেখে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের ভিড় দেখা গেছে। অতিরিক্ত ভিড় থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের।
চাঁদ দেখার উপর নির্ভর আগামী ১৩ অথবা ১৪ মে পালিত হবে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
তবে এখনো ঈদের বাকি আছে বেশ কিছুদিন। তা সত্ত্বেও ব্যাংকে প্রচুর ভিড়। কারণ আগামী ৯ দিনের মধ্যে সাত দিনই ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) ব্যাংক খোলার পর পরই রাজধানীর ব্যাংক গুলোর বিভিন্ন শাখাতে ভিড় করেন গ্রাহকরা। বেশিরভাগ শাখায় গ্রাহকের লম্বা লাইন দেখা গেছে। একই অবস্থা তৈরি হয়েছে এটিএম বুথগুলোতেও।
বেসরকারি এনসিসি ব্যাংকের গ্রাহক আজিজ সরদার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ঈদের বাকি এখনও সাত দিন। কিন্তু ব্যাংক খোলা থাকবে মাত্র দুই দিন। এ কারণে ব্যাংকে টাকা তুলতে এসেছেন তিনি। তার মতো অন্যরাও আজ ভিড় করেছেন। হয়ততো ব্যাংক থেকে টাকা তুলে কেনাকাটা শেষ করতে চাচ্ছেন অনেকে। এজন্যই সবাই ব্যাংকমুখী হয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের আগে আর মাত্র দুই দিন ব্যাংক খোলা। আগামী রবিবার(৯ মে) ও মঙ্গলবার(১১ মে) ব্যাংকে লেনদেন করা যাবে। ১৪ মে যদি ঈদ হয়, তাহলে বুধবার (১৩ মে) কেবল পোশাক শিল্প ও রফতানি সংশ্লিষ্ট লেনদেন হয়, এমন সব ব্যাংক শাখা খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে।
আগামীকাল শুক্রবার (৭ মে ) থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ৯ দিনের মধ্যে রবিবার (৯ মে) ব্যাংক খোলা। পরদিন সোমবার (১০ মে) পবিত্র শবে কদরের ছুটি। এরপর ঈদের আগে মঙ্গলবার (১১ মে) ব্যাংক খোলা থাকবে। এছাড়া বাকি সাত দিন ব্যাংক বন্ধ। তবে ঈদের আগে তৈরি পোশাকশিল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য এবং রফতানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত ব্যাংক শাখা ১০ মে এবং ১৪ মে ঈদ সাপেক্ষে ১৩ মে খোলা রাখতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।