চালক , বাস হেল্পার বা যাত্রী কারো মধ্যেই নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা। গণপরিবহনে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবে তা মানা হচ্ছে না।
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর রুটে বাস চলাচল করছে। বিশেষ করে ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে যদিও আন্তঃজেলা বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আছে।
৫ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বলে হয় যে আগামী ১৬ মে মধ্যরাত পর্যন্ত গণপরিবহনে্র বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এবং শুধুমাত্র জেলার মধ্যে গাড়ি চলতে পারবে। আন্তঃজেলা বাসের পাশাপাশি বন্ধ থাকবে যাত্রীবাহী ট্রেন ও নৌযান চলাচল।
আজ গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশ এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ দিক থেকে নারায়ণগঞ্জ এবং নরসিংদীগামী বাস চলতে দেখা গেছে। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চলাচল করে দোয়েল পরিবহন। এই পরিবহনে প্রতিটি আসনে যাত্রী পরিবহন করছে। যাত্রী-চালকদের মুখে মাস্ক থাকলেও বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার দেখা যায়নি।
আরিফ হোসেন নামের এক বাস চালকের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি। নিষেধ করলেও যাত্রীরা বাসে উঠেছেন। এছাড়াও অনেক যাত্রী নিয়ম অনুযায়ী ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া দিতে চান না। এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডাও হয়।
রাজধানীর মহাখালী হয়ে গাজীপুর রুটে চলাচল করা বাসগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেলেও গুলিস্তান এলাকায় গাদাগাদি করে বিভিন্ন পরিবহনে যাত্রী তোলা হলেও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কোনো সদস্যকে তৎপর দেখা যায়নি।
ঢাকা মহানগর এবং গাজীপুর মহানগরে যান চলাচলে কেউ তাদের বাধা দেয়নি। মালিকপক্ষের নির্দেশে তারা যাত্রী পরিবহন করছেন বলে জানান, মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের স্কাইলাইন পরিবহনের চালক মাসুম।