(‘ভোক্তাকণ্ঠ’ শুক্রবার ব্যতীত, প্রতিদিন ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশ করবে। ভোক্তা অধিকার সমুন্নত রাখতে এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এই প্রতিবেদন সহায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি)
ঢাকা প্রতিনিধিঃ রাজধানী ঢাকার সবুজবাগ এলাকায় আজ ৫ই মে রবিবার, ভেজাল বিরোধী অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ২৯,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দ্রব্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করে বিক্রয় করার অপরাধে জরিমানা করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এসব অসাধু প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন যাবত অধিক মূল্যে দ্রব্যাদি বিক্রয় করে আসছিলো।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ৩৮নং ধারা অনুযায়ী রাতুল ষ্টোরকে ৫০০০ টাকা, ভাই ভাই ষ্টোরকে ৪০০০ টাকা, সাত ভাই কমপ্লেক্সকে ৫০০০ টাকা, হাসান ষ্টোর’কে ৫০০০ টাকা ও হাজী আব্দুল মান্নান রাইস মিলকে ১০,০০০ টাকা জরিমানা ও আদায় করেন।
সিরাজগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রিঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরভুক্ত সিরাজগঞ্জ জেলা কার্যালয় আজ রবিবার রায়গঞ্জ উপজেলায় ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে ডক্টর’স ফার্মেসী থেকে বিপুল পরিমান মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ জব্দ করা হয়।ঔষধগুলো তাৎক্ষনিকভাবে নষ্ট করে দেয়া হয়। সিরাজগঞ্জ জেলা কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক জনাব মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ডক্টরস ফার্মেসীকে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ৫১নং ধারায় ৪০০০ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান শেষে মাহমুদুর রহমান বলেন, ভোক্তাদের সঠিক সেবা ও মান নিশ্চিত করাই জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের লক্ষ্য, এ লক্ষ্যপূরণে অভিযান চলমান থাকবে।
গোপালগঞ্জঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়, আজ ৫ই মে, সদর উপজেলায় পরিচালিত অভিযানে পন্যের মোড়ক ব্যবহার না করা, ওজনে কম দেয়াসহ মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বাজারজাত করার অপরাধে ‘মেসার্স হাওলাদার স্টোর’ এবং ‘মেসার্স পাল ভান্ডার’ নামের দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেন। গোপালগঞ্জ জেলার ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ শামীম হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। তিনি জানান, ‘মেসার্স হাওলাদার স্টোর’ এবং ‘মেসার্স পাল ভান্ডার’কে (ধারা ৩৭) অনুযায়ি পণ্যে মোড়ক ব্যবহার না করার কারনে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।