শিক্ষানবিস চিকিৎসকরা গত বছরের অগাস্ট থেকে সিসি ক্যামরা, পরিচয়পত্রসহ নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এরপর ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় শিক্ষানবিস চিকিৎসকদের পরিচত্রপত্র দেওয়া এবং তাদের হোস্টেলে সিসি ক্যামরা লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, শনিবার ব্যবস্থাপনা কমিটির এই সিদ্ধান্তের পর শিক্ষানবিস চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। “ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় আইডি কার্ড দেয়া ও সিসি ক্যামরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভার পর ইন্টার্ন ডাক্তাররা এসেছিলেন। তারা ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন।
ছাত্রলীগের একটি পক্ষের সঙ্গে গত ২৭ এপ্রিল বিরোধের পরদিন শিক্ষানবিস চিকিৎসকরা এসব দাবিতে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। তিনদিন পর যা স্থগিত করা হয়।
সভায় চমেক হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়, যা হাসপাতালের রোগীদের সেবা বৃদ্ধির কাজে ব্যয় করা হবে।চমেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও এভাবে করা হয়। ওই টাকা রোগীদের চিকিৎসার কাজেই ব্যয় করা হবে।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান উপস্থিত ছিলেন এবং এসময় চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাহেনা আক্তার, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।