নতুন ভ্যারিয়েন্ট বা ধরনে যে ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সংস্পর্শে আসা নতুন কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট যেন ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সবাইকেই সচেতন হতে হবে। নয়তো ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। ভ্যারিয়েন্ট যাই হোক না কেন চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র কিন্তু কাছাকাছি। তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। আমাদের জনশক্তিসহ সবকিছু কিন্তু অসীম নয়। আমরা যদি সংক্রমণের শৃঙ্খল ভেঙে দিতে না পারি তাহলে কিন্তু আমাদের রোগীর সংখ্যা কমবে না।
তিনি আরও বলেন, অক্সিজেনের সংকট নিয়ে কিছুদিন আলাপ আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আমরা আপনাদের জানাতে চাই, দেশে যে পরিমাণ অক্সিজেন রয়েছে তার পুরোটাই আমাদের দেশে তৈরি হচ্ছে। আপাতত অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই। ভবিষ্যতেও সংকট দেখতে পাচ্ছি না। পাশাপাশি তিনি ডেঙ্গু মশার কথা উল্লেখ করে বলেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মালিবাগ, গুলবাগ, শান্তিবাগ, মিন্টু রোড, বেইল রোড, কাকরাইল, সিদ্দিক বাজার, ওসমান গণি রোড, শাঁখারীবাজার, আরকে মিশন রোড, অভয় দাশ লেন, মিল ব্যারাক এলাকায় অনেক বেশি পরিমাণে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত করতে পেরেছি। প্লাস্টিকের পাত্র, পানির ট্যাঙ্ক, ফুলের টব, নির্মাণাধীন ভবন, লিফটের গর্তে অত্যন্ত আশঙ্কাজনকভাবে লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই লার্ভা থেকে পূর্ণাঙ্গ বয়স্ক এডিস মশা তৈরি হবে। এ মশা রোগ বিস্তারে বড় ভূমিকা রাখে। সেখান থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে উৎসে আমাদের কাজ করতে হবে। প্রত্যেকে যেন নিজ নিজ বাড়িতে পরিত্যক্ত কনটেইনার বা টব যেন আমরা পরিষ্কার করে ফেলি। কেউ যদি বেশি সময়ের জন্য বাসা ছেড়ে যাই, যেসব জায়গায় পরিষ্কার পানি জমে থাকতে পারে সেগুলো যেন খালি করে যাই। ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর কারণে যে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে, সেটি যদি এ করোনাকালে হয় তাহলে মৃত্যুর মিছিল বাড়াবে কি না বরাবরই সে আশঙ্কা থেকে যায়।