গতকালও যেখানে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের ফেরিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল সেখানে আজ একদম চাপ নেই ঘরমুখো যাত্রীদের।যাত্রী ও পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছে ফেরিগুলো। দীর্ঘসময় বাংলাবাজার ঘাটে অপেক্ষা করে পরিবহন লোড করে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে।
১০ মে বিকেল থেকে সবগুলো ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় ১১ মে নৌরুটের এমন ভিন্ন চিত্র দেখা গিয়েছে। ফেরি ঘাট ও পন্টুন ছিল একেবারেই যাত্রীশূন্য। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে ফেরিগুলো বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রী ও পরিবহন নামিয়ে শিমুলিয়ার উদ্দেশে আবার খালি ফিরে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, ঘাটের ভেতরে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যান গাড়ি ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এতে ফেরি থেকে নেমে আধা কিলোমিটার হেঁটে পরিবহনে উঠতে হচ্ছে যাত্রীদের। একইভাবে গাড়ি থেকে নেমে ঘাটে যেতে হচ্ছে শিমুলিয়ামুখী যাত্রীদের।
বরিশালগামী এক যাত্রী বলেন, ‘ফেরি থেকে নেমে কোনো পরিবহনই ঘাট এলাকায় খুঁজে পাচ্ছি না। ছোট ছোট পরিবহনগুলো রাখা হয়েছে ঘাট থেকে অনেক দূরে। প্রায় আধা কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ইজিবাইকে চড়তে হচ্ছে। ভেঙে ভেঙে যাওয়ার কারণে পরিবহনে ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে। যেখানে ভাড়া ছিল ৪০ টাকা সেখানে দিতে হচ্ছে ১ হাজার টাকা।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন মিয়া জানান, শিমুলিয়া থেকে দ্রুত যাত্রী ও পরিবহন বোঝাই ফেরি আসার কারণে বাংলাবাজারের সবগুলো ঘাট প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। এ রুটে ১৬টি ফেরি এখন চলাচল করছে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে ফেরিগুলো বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রী ও পরিবহন নামিয়ে শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে আবার খালি ফিরে যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, শিমুলিয়া থেকে দ্রুত যাত্রী ও পরিবহন বোঝাই ফেরি আসার কারণে বাংলাবাজারের সবগুলো ঘাট প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। এ রুটে ১৬টি ফেরি এখন চলাচল করছে। এদিকে লঞ্চ ও স্পিডবোট পুরোপুরি বন্ধ থাকার কারণে শুধুমাত্র ফেরিই এখন ভরসা।